২০২৫ সালের মধ্যে সব বয়স্ককে ভাতা দেবে সরকার

20

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সব ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়স্ক পুরুষ এবং ৬২ তদূর্ধ্ব বয়স্ক নারীদের ভাতা প্রদানের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মীর মোস্তাক আহমেদ রবির প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে প্রতিবছরই বয়স্ক ভাতা কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারা দেশে ৪৪ লাখ জনকে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। সে হিসাবে পর্যায়ক্রমে ২০২৫ সালের মধ্যে সব ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়স্ক পুরুষ এবং ৬২ তদূর্ধ্ব বয়স্ক নারীদের ভাতা প্রদানের পরিকল্পনা সরকারের আছে।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পারিবারিক অশান্তি, কঠোর শাসন অথবা অত্যধিক স্নেহ, পিতা-মাতার অবহেলা, সঙ্গদোষ, বিবাহ বিচ্ছেদ, গঠনমূলক বিনোদনের অভাব, আধুনিক শিক্ষার অভাব এবং আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্যের সহজ লভ্যতার কারণে দেশে বিপুলসংখ্যক কিশোর-কিশোরী অপরাধীতে পরিণত হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতেও কিশোর-কিশোরীরা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।
মন্ত্রী জানান, ’শাস্তি নয়, সংশোধন’- এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ কিশোর-কিশোরীদের সংশোধন ও উন্নয়নের জন্য গাজীপুর ও যশোরে দুটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে একটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা) স্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোর নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো কেন্দ্রেই যাতে নির্যাতনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য বেশকিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে বয়স্ক ও বিধবা ভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হতে ৫ হাজার ৬৯৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।