৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ॥ মুজিববর্ষে সিলেটে মুজিব ট্রেড সেন্টার করার তাগিদ

9
সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার আয়োজিত ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।

স্টাফ রিপোর্টার :
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘দেশের সব শহরে ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টার করা যেতে পারে; বিভিন্ন দেশেও এমন ট্রেড সেন্টার রয়েছে, যেখানে সারাবছর মেলা হয়ে থাকে। মুজিববর্ষে আমাদের দাবি হওয়া উচিত সিলেটে একটি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, মুজিব ট্রেড সেন্টার করার। আপনার জমি দেখবেন। জমি শহরের মধ্যে হবেনা, একটু দূরে হলেও হবে। ভালো হলে দূরেও মানুষ যাবে। বিদেশেও যায়, আমাদেরও অভাব হবে না।’
শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহস্থ সদর উপজেলা মাঠে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ৬ষ্ঠ সিলেট আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আফজাল রশিদ চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট শহরে মাঠ নেই। কিন্তু নদীর ওপারে অনেক খোলা জায়গা রয়েছে। সেখানে চার-পাঁচটি মাঠ করা যেতে পারে। মাঠ করতে পারলে খেলাধুলার পাশাপাশি মেলার আয়োজনও করা যাবে। মাঠ থাকলে বাণিজ্যিক মেলা আয়োজন করার অভাব কমে যাবে।’
সিলেটে মাঠ সংকটের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আরও বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, শহরের আনাচে কানাচে খোলা জায়গা ছিল যেখানে আমরা খেলা করতে পারতাম। আর এখন খোলা জায়গা পেলেই স্থাপনা তৈরি করা হয়। এর ফলে স্থানীয় নাগরিকরা ভোক্তভোগী হন। আমি আশা করি এ বিষয়ে নাগরিকরাই সোচ্চার হবেন।’
সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় উপস্থিত হতে পেরে খুব খুশি হয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট মেলাকে ১৫৫ স্টল ও ৩৫ প্যাভেলিয়ান এসেছে। এ কারণে খুব খুশি হয়েছি। তিনি বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তাঁর রিকোয়েস্টেই আমি এই মেলার উদ্বোধন করেছি।’
সম্প্রতি ঢাকায় এসএমই মেলায় তিনি গিয়েছিলেন উল্লেখ করে বলেন, ওই মেলায় গিয়ে অভিভুত হয়েছি। সেখানে স্টলের ৭০ শতাংশই মহিলা। এসব মেলার আয়োজন উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে কাজ করে। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তারা এসব মেলা আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের তুলে ধরছেন। ভালো মানের পণ্য নিয়ে আসছেন তারা। মেলা হওয়ার ফলে উদ্যোক্তারা শহরে আসতে পারছে, আমরা ভালো মানের পণ্যও পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছি। সরকারের একার পক্ষে সেটা অর্জন সম্ভব নয়। সেজন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। দুনিয়ার সবদেশে ব্যবসায়ীরাই উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। ব্যবসায়ীরাই চাকরি দেন। বেকার দূর করেন। উন্নয়নের জন্য এসএমইদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকারও তাদের সহযোগিতা করবে।’
এই মেলার মাধ্যমে তিনি সিলেটের ব্যবসায়ীদের সিলেটে ইন্ডাস্ট্রি করার আহ্বানও জানান। তিনি বলেন, হাইটেক পার্কে জায়গা পেলে সরকার সকল সুবিধা প্রদান করবে। এজন্য মনযোগি হন। ঐতিহাসিক দিনে সিলেটে উদযাপনের সুযোগ পাওয়ায় তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বারসহ সবাইকে কৃতজ্ঞতাও জানান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের ১ম সহ-সভাপতি ও মেলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি, সিলেট জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব, সাবেক পিপি এডভোকেট মোশাহিদ আলী, উইমেন্স চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি তাপস পুরকায়স্থ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি মাওলানা খায়রুল হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি হুরায়রা ইফতার হোসেন, পরিচালক মো. ইলিয়াসুর রহমান, সুমেয়াত নুরী চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান, মাহমুদুর রহমান, অজয় কুমার ধর, মো. সিদ্দিকুর রহমান, রাজিব ভৌমিক, শান্তু দত্ত সন্তু, মো, আব্দুর রহমান রিপন, মো. আলিমুছ ছাদাত চেšধুরী, সাবেক পরিচালক মাহমুদ বক্স রাজন, মোয়াশির হোসেন চেšধুরী, সদস্য জয়নাল আহমদ রানা, মো. মঈনুল ইসলাম মঈন, মো. সফিউর রহমান, মো. ফয়েজ আহমদ চৌধুরী, আব্দুল গাফফার, আব্দুল লতিফ রিপন, জোমাদিন আহমদ।
এয়াড়া প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীরাও উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।