স্টাফ রিপোর্টার :
শাহী ঈদগাহের মৃত ফিরোজ খানের পুত্রবধূ জোহেলা বেগম রুমির সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ আশরাফ আহমদ সুমন। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফ বলেন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নিমূলে এশা বানুর ছেলে সুয়েবুন নবীর কাছ থেকে শাহী ঈদগাহে ১০১৬৭ দাগের ২৬১৩ খতিয়ানের ২৫ শতক জায়গার মালিক তিনি। স্থানীয় মৃত ফিরোজ খানের পুত্রবধূ জোহেলা বেগম রুমি গত ১৪ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সৈয়দ আশরাফ বলেন, রুমি ১৯টি দাগের উল্লেখ করেছেন কিন্তু শুধুমাত্র ১০১৬৭ নম্বর দাগের ২৫ শতক জায়গার খরিদা সূত্রে মালিক সুয়েবুন নবীর মা এশাবানু। হেবা দলিলমূলে মালিক হন সুয়েবুন নবী। রুমির উল্লেখিত বাকি দাগগুলোর জায়গার মালিকানা কখনো দাবি করেননি সুয়েবুন নবী। তাছাড়া রুমির শশুর ফিরোজ খান আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা (৭৬/২০০৪) দায়ের করেছিলেন সেখানে তিনি স্বীকার করে গেছেন ১০১৬৭ নম্বর দাগের ২৬১৩ নম্বর খতিয়ানের ২৫ শতক ভূমির মালিক এশাবানু ও তার সন্তানাদি।
সৈয়দ আশরাফ দাবি করেন, উল্লেখিত ভূমির উপর নির্মিত দ্বিতল মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে তার ভাড়া চুক্তি রয়েছে এবং তিনি সেখানে নিয়মিত ভাড়া আদায় করে আসছিলেন। গত ২৯ মে তিনি ভাড়া আদায় করতে গেলে জোহেলা বেগম রুমি ও ফিরোজ খানের মেয়ের জামাই আরিফ আহমদের নেতৃত্বে ১০/১২ জন তার উপর হামলা চালায়। বিষয়টি স্থানীয় সালিসানদের নজরে আনলে তারা উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেন। এই সময় মার্কেটের ভাড়া সালিসানরা আদায় করেন। রুমি ও তার পরিবারের সদস্যদের অসহযোগিতার কারণে দীর্ঘ সাত মাসেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলেও দাবি করেন সৈয়দ আশরাফ।
তিনি বলেন, গত ৩ জানুয়ারি জোহেলা বেগম রুমি, তার ছেলে নাঈম, ফিরোজ খানের মেয়ের জামাই রাজ্জাক ও আরিফ মার্কেটে গিয়ে দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। এ ব্যাপারে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফ আহমদ সুমন নিজের জান-মালের নিরাপত্তা জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শোয়েব নবী, আব্দুল ওয়াহিদ, জামায়েত চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম ও সামাদ আহমদ।