দক্ষিণ সুরমায় অটোরিক্সা শ্রমিকদের দুই পক্ষে সংঘর্ষে ২০ জন আহত

18
দক্ষিণ সুরমা বাবনা পয়েন্টে সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক সমিতির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কয়েকজন।

স্টাফ রিপোর্টার :

দক্ষিণ সুরমা বাবনা পয়েন্টে সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক সমিতির দু’পক্ষের সংঘর্ষে চলাকালে একটি চিত্র।

দক্ষিণ সুরমায় সিএনজিচালিত অটোরিক্সা সমিতির শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন। আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে বাবনা পয়েন্টে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নগরীতে অটোরিক্সা স্ট্যান্ড নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা শ্রমিকরা। সিটি করপোরেশন তাদের অটোরিক্সা স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করছে বলেও দাবি শ্রমিকদের। এই ইস্যুতে গতকাল সোমবার অটোরিক্সা শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধের জের ধরে বিকেলে তারা সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষের সময় দুপক্ষের মধ্যে প্রচুর ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। সংঘর্ষের খবর পেয় ঘটনাস্থলে যান সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ শামসুল হক মানিক।
তিনি বলেন, অটোরিক্সা শ্রমিকদের ২ সমিতির শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫-২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষকালে উভয়ের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন থেকে ভার্থখলার ভূইয়ার পাম্প সিএনজি স্ট্যান্ড অটোরিক্সা চালক ও বাবনা পয়েন্ট সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মাঝে যাত্রী উঠানামা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল সোমবার কথা কাটাকাটির জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয়পক্ষের ৬টি গাড়ী ভাংচুর করা হয়। পথচারীসহ ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের কেউ কেউ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও নর্থ ইস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে আহতদের নাম প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল জানান, খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। শ্রমিক নেতারাদের হস্তক্ষেপে সংঘর্ষ থেমেছে। এখন উভয় সমিতির শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বৈঠকে বসা হচ্ছে।