জগন্নাথপুরে আবারো শ্রমিকদের সংঘর্ষে পথচারী সহ আহত ২০

11

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে আবারো দুই সমিতির অটোরিক্সা শ্রমিকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় সমিতি ও পথচারী সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। জগন্নাথপুর পূর্বপার অটোরিকশা (সিএনজি) সমিতির আহতরা হলেন আলফু মিয়া, তাহের মিয়া, সেবুল মিয়া, রুহেল মিয়া, সেলন মিয়া, লিটন মিয়া, লেবু মিয়া সুমন রানা ও নিশি দাস এবং রাণীগঞ্জ সমিতির আহতরা হলেন আবদুল মতিন, রাজন মিয়া, রাসেল মিয়া, নজরুল ইসলাম, জাবেদ মিয়া, মিজানুর রহমান, জনি মিয়া ও পথচারী রায়হান মিয়া। এর মধ্যে গুরতর আহত আবদুল মতিনকে সুনামগঞ্জ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অন্য আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি সহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কে গাড়ি চলাচল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথপুর পূর্বপার অটোরিক্সা সমিতি ও রাণীগঞ্জ সমিতির মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এর আগেও অনেকবার সংঘর্ষ ও হামলা-মামলার ঘটনা ঘটেছে।
এরই জের ধরে ৪ জানুয়ারি শনিবার জগন্নাথপুর পৌর সদরের হেলিপ্যাড, পৌর পয়েন্ট ও খাদ্য গোদাম এলাকায় পৃথক ভাবে এ দুই সমিতির শ্রমিকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পথচারী জনতা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে ছুটাছুটি করেন।
খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই লুৎফুর রহমান ও এসআই রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দল ও জগন্নাথপুর বাজার বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবদাল হোসেন ভূইয়া, জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শফিকুল হক, প্যানেল মেয়র-২ সুহেল আহমদ সহ নেতৃবৃন্দ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ ব্যাপার উভয় সমিতির পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। জগন্নাথপুর পূর্বপাড় অটোরিকশা সমিতির সহ-সভাপতি আলা উদ্দিন বলেন, তারা বারবার অন্যায় ভাবে আমাদের গাড়ি আটক করে রাখে এবং শ্রমিকদের মারপিট করে ও মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। রাণীগঞ্জ অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি আজমল হোসেন মিঠু বলেন, তারা আমাদের সমিতির গাড়ি আটকে রাখে ও শ্রমিকদের মারধর করে থাকে। আজকেও তারা প্রথমে আমাদের শ্রমিকদের মারপিট করেছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার এসআই লুৎফুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বারবার সংঘর্ষের কারণে স্থানীয় পৌর পয়েন্টে আর কোন সমিতির গাড়ি রাখতে দেয়া হবে না। জগন্নাথপুর পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।