কুয়েতে অগ্নিকান্ডে নিহত একই পরিবারের ৫ জনের মরদেহ আসছে কাল, কমলগঞ্জে অপেক্ষায় স্বজনরা

39

পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ থেকে
মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েত শহরে একটি আবাসিক ভবনের এসির কমপ্রেসার বিস্ফোরণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের জুনেদ আহমেদর স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ পাঁচজনের মরদেহ আসছে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর)। শেষ বারের মত মরদেহ দেখে নামাজে জানাযা ষেষে দাফনের অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা। সোমবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল পাঁচটায় কুয়েত শহরের সালমিয়াত এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
কমলগঞ্জ উপজেলার ৫নং কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের জুনেদ আহমদ স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৩৪), বড় মেয়ে জামিলা আহমদ (১৫), বড় ছেলে ফাহাদ আহমদ (১২), ছোট ছেলে ইমাদ (৯) ও ছোট মেয়ে নাবিলা আহমদ (৫)কে নিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কুয়েতে বসবাস করতেন। তিনি সেখানে কুয়েত সামরিক বাহিনীতে চাকুরী করছেন। সোমবার বিকালে আকস্মিকভাবে ভবনের তিন তলার একটি বাসার এসির কম্প্রেসার বিস্ফোরণ ঘটে আগুন লেগে যায় ভবনে। ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে চার সন্তান নিয়ে ৪ তলা থেকে নামতে গিয়ে ধোঁয়ায়া শ্বাসরুদ্ধ হয়ে জুনেদ আহমদের স্ত্রী ও চার সন্তান মৃত্যুবরণ করেন।
বুধবার বিকাল সাড়ে চারটায় নিহত রোকেয়া বেগমের বড় ভাই অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালের বিক্রয় প্রতিনিধি কবির হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, কুয়েতে  রোকেয়ার স্বামী জুনেদ আহমদের সাথে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন বুধবার রাত ৮টায় কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে করে মরদেহগুলি আনা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে ফ্লাইট ঢাকায় পৌছলে ঢাকাস্থ কুয়েত দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় মরদেহগুলি গ্রামের বাড়ি কমলগঞ্জের কান্দিগাঁও  পৌছবে বেলা দুইটার দিকে। এখানে স্বজনদের সাথে আলোচনা করেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দাফনের চেষ্টা করা হবে।
কান্দিগাঁও গ্রামে জুনেদ আহমদের বড় বোন মুসলিমা বেগম (৪৮) জানান, তারা এখন লাশের অপেক্ষায় আছেন। লাশ আসার পর পরিবার ও গ্রামবাসীরা শেষ বারের মত দেখে নামাজে জানাযা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন করবেন।