তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জে উচ্ছেদ অভিযানের প্রথমদিন জাদুকাটা নদী তীরে থাকা সেইভ মেশিন ও পাঁচ ষ্টোন ক্রাশার (পাথর ভাঙ্গানো)’র মেশিনসহ দখলে থাকা কয়েক লাখ টাকার মূল্যের সরকারি ভূমি উদ্ধার করেছেন।
এছাড়াও রফিকুল ইসলাম নামে এক জনকে আটক করেছে।
সে উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের ঘাগটিয়া টেকেরগাঁও গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে।
সোমবার বেলা ১২টা থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন এ উচ্ছেদ অভিযান চালায়।
তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসসের দায়িত্বশীল সূত্র গণমাধ্যমকে জানান, দেশব্যাপী উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসাবে সোমবার প্রথমদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র নেতৃত্বে উপজেলার জাদুকাঁটা নদীর তীরবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানের শুরুতেই জাদুকাটার বড়ইবাগ এলাকা হতে বালু পাথল রুটে থাকা দুটি সেইভ মেশিন জব্দ করার পর আগুনে পুড়িয়ে তা ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ঘাগটিয়া বাঁশ পাড়ার হাজি মোশারফ হোসেন তালুকদারের সহোদর মোশাহিদ তালুকদারের জাদুকাটা নদীর বড়ইবাগ এলাকায় অপদখলীয় ভূমিতে থাকা একটি টিনশেডের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া ও কয়েক লাখ টাকা মূল্যের বিশ শতক সরকারি ভুমি উদ্ধার করা হয়।
এ সময় দখলবাজ মোশাহিদ তালুকদারের লোক রফিকুল সরকারি কাজে বাধা দিতে আসলে তাকেও থানা পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
একই দিন উপজেলার জাদুকাঁটা নদী তীরবর্তী ঘাগড়া-পাঠানপাড়া এলাকা হতে পাঁচটি ষ্টোন ক্রাশার মেশিন জব্দেরপর জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।,
উচ্ছেদ অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যনার্জী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মুনতাসির হাসান, থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান, বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যা ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জীর নিকট উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাদেশ ব্যাপী নদী, খাল, ছড়া তীরবর্তী এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা ও দখলবাজদের কবলে থাকা সরকারি ভূমি উদ্ধার কার্যক্রমের অংশ হিসাবে সোমবার এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
সোমবার রাতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, গত দেড় বা দুই যুগের ব্যবধানে গোটা জেলা, জেলার উপজেলায় বিভিন্ন নদী, খাল, ছড়া, ট্রেন তীরবর্তী এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা, সরকারি খাস ভূমি, হাট বাজারে প্রভাবশালীদের অপদখলে থাকা কয়েক হাজার একর ভূমিতে অবৈধ স্থাপনা, বসতি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও পর্যায়ক্রমে সেসব স্থানে চলমান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালানার দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।