হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় পৃথক দুই স্থানে অজ্ঞাতপরিচয় নারী ও পুরুষের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দেহগুলো অর্ধগলিত হওয়ায় চেহারা না চেনা গেলেও এক যুবক দাবি করছেন নারীর মরদেহটি তার মায়ের।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে বানিয়াচং থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুটকি নদীতে অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষের (৪৫) মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে বানিয়াচং থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
একইদিন বিকেলে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল বাজুকা এলাকায় খোয়াই নদীর তীরে আনুমানিক ৫৫ বছর বয়সী এক নারীর গলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন গ্রামবাসী।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদ মোবারক বলেন, মরদেহ দু’টি মনে হচ্ছে বেশ কয়েকদিন আগের। পচে যাওয়ায় এগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে রাত পৌনে আটটার দিকে বানিয়াচং উপজেলার তাড়াসই গ্রামের লীল মিয়ার ছেলে ফুল মিয়া (৩০) থানায় এসে দাবি করছেন নারীর মরদেহটি তার মায়ের। তিনি পুলিশকে বলছেন, তার মা প্রায় পনের দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
ওসি আরো জানান, এগুলো হত্যাকাণ্ড না স্বাভাবিক মৃত্যু তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ মরদেহগুলো পচে যাওয়ায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কী-না তা বোঝা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।