সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর আবাসিক এলাকার সুরমা-৬৪ নং বাসায় দু:সাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধ্যা ৮টায় আবু হেনা মোঃ মোস্তফা শামীমের বাসার দরজার তালা ভেঙ্গে নগদ অর্থসহ ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় চুরেরা। এ ঘটনায় তিনি সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন। এখন পর্যন্ত অভিযোগটি মামলায় পরিণত হয়নি। চুরিকৃত মালামাল উদ্ধার বা চোরদের গ্রেফতার করা হয়নি।
এ ব্যাপারে আবু হেনা মোঃ মোস্তফা শামীম জানান, সন্ধ্যায় আমি বাসার দরজা এবং গেইট বন্ধ করে হাসপাতালে একটি রোগি নিয়ে যাই। রাত অনুমান ৯টায় বাসায় এসে দেখি আমার ঘরের মামালামল এলামেলো পড়ে আছে। স্টীলের ২টি আলমিরার তালা ভাঙ্গা। আলমিরায় রক্ষিত নগদ সাত হাজার টাকা ও ১০ভরি ওজনের নানা জাতের স্বর্ণালঙ্কার নেই। যার মূল্য প্রায় সাগে চার লক্ষ টাকা। তিনি আরো জানান, ঘটনার পর দিন আমি সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি। পুলিশ আমার বাসা পরিদর্শন করেছে। আমার অভিযোগটি মামলায় রূপান্তর করা হয়নি। অভিযোগে সন্দেভাজন হিসেবে আমি আমার বাসার কাজের মহিলার ছেলে নবীনগর এলকার জাহাঙ্গীর, ধোপাখালি এলাকার রোকন মিয়া, ষোলঘরের আসকর আলী ও ব্রহ্মণগাঁওয়ের জামাল মিয়া, রেজা মিয়ার নাম উল্লেখ করি। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি বা চুরিকৃত মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ মামলা না নিলে এখন আদালতে মামলা করবো।
আবু হেনা মোঃ মোস্তফা শামীম’র বাসায় চুরির ঘটনার পরপরই তাঁর বাসায় যান দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ। মঙ্গলবার রাতে তার বাসায় যান দিরাই-শাল্লার সাবেক এমপি নাছির উদ্দিন চৌধুরী। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে মালামাল উদ্ধার এবং আসামীদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।