হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গোলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও দুই ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে আব্দুল হামিদ ওরফে ফুল মিয়া নামে এক ব্যক্তি। পরে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স থেকে তাকে আটক করা হয়। ফুল মিয়া গোলগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি নিজেরে একটি বাহিনীর কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।
আহতরা হলেন- প্রধান শিক্ষিকা শাহানা আক্তার (৪০), গোলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ও আব্দুল হান্নান রমিজের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১০) এবং ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ও শাহজাহান মিয়ার মেয়ে শারফিন আক্তার (৯)। তারা চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে নিয়মিত স্কুলে না আসার অভিযোগে এক ছাত্রীকে মারপিট করেন বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ফুল মিয়া। এ সময় প্রধান শিক্ষিকা এবং ওই দুই ছাত্রী প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরও মারপিট করেন ওই ব্যক্তি। স্থানীয়রা এসে আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে ঘটনা জানতে পেরে দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স থেকে হামলাকারী ফুল মিয়াকে আটক করে নিয়ে আসে চুনারুঘাট থানা পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন ফুল মিয়া। শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের মারপিটের উপযুক্ত বিচার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক জানান, হামলাকারী ও ভুয়া মেজর পরিচয়ধারী ফুল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে পেরেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চুনারুঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।