৪২ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর ফাঁস !

21

কাজিরবাজার ডেস্ক :
অনলাইন সার্ভার পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত না হওয়ায় ৪১ কোটি ৯০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর ফাঁস হয়েছে। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া ফোন নম্বরগুলো নিয়ে একটি উন্মুক্ত ডেটাবেইজ তৈরি করে তা অনলাইনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তথ্যগুলো এমন একটি অনলাইন সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়, যেটা পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত ছিল না। এ কারণেই কয়েক কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর একটি উন্মুক্ত ডেটাবেইজে প্রকাশিত হয়েছে। এটা ফেসবুকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সর্বশেষ উদাহরণ। যার কারণে এর ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ভিয়েতনামের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা। একটি অনলাইন সার্ভারের সংরক্ষণ করা ছিল এই ৪১ কোটি ৯০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর। তবে পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত ছিল না ওই অনলাইন সার্ভার। এগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ কোটি ৩০ লাখ, ইংল্যান্ডের ১ কোটি ৮০ লাখ ও ভিয়েতনামের ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর ফাঁস হয়েছে।
জিডিআই ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা গবেষক সানইয়াম জৈন ডেটাবেইজে ওই ফোন নম্বরগুলো ফাঁস হওয়ার তথ্য পান প্রথমে। তিনি জানান, ওই ডেটাবেইজে কোনো পাসওয়ার্ড দেওয়া ছিল না। বহু চেষ্টার পর এর কোনো উৎসও বের করা যায়নি। পরে টেকক্রাঞ্চ ওই ওয়েবসাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর কর্তৃপক্ষ ওই ডেটাবেইজটি অফলাইনে সরিয়ে নেয়।
তথ্য ফাঁসের এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, কীভাবে এই তথ্য ফাঁস হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে অনেকেই একাধিক নম্বর ব্যবহার করায় ২১ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে দাবি ফেসবুকের।
ফেসবুকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক স্ক্রোয়েফার বলেন, ‘পাবলিক প্রোফাইলের তথ্য হাতিয়ে নিতে এই ফিচারগুলোর অপব্যবহার করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। ফোন নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেসগুলো সাবমিট করার মাধ্যমে তারা আগেও এভাবে তথ্যানুসন্ধান করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, ফেসবুকে যাদের প্রোফাইল পাবলিক করা, তাদের তথ্য এইভাবে মুছে ফেলা হয়।’
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলছে, ওই প্রকাশিত তথ্য অনেক ‘পুরোনো’। এটা ২০১৮ সালের এপ্রিলে পলিসি পরিবর্তনের আগে হাতিয়ে নেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করা। তবে যেসব গ্রাহকের তথ্য ফাঁস হয়েছে বা এর কারণে নিরাপত্তা হুমকিতে থাকতে পারে; তাদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখপাত্র কোনো জবাব দেননি। তিনি শুধু বলেছেন, তদন্ত চলছে।