তাহিরপুরে পর্যটকদের টানছে মেঘালয়ের ছড়া গুলো

260
তাহিরপুরের লালঘাট ছড়া।

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
ভারত সীমান্তে মেঘালয় পাহাড়ের নালা ও ছড়াগুলো টানছে পর্যটকদের। এক সময় টাঙ্গুয়া, ট্যাকেরঘাট, বারেকটিলা, যাদুকাটা, শিমুলবাগান তাহিরপুর উপজেলার পর্যটন বিকাশে পরিচিতি এনে দিয়েছে। বর্তমানে সীমান্তে একাধিক নালা ও ছড়া সারা দেশে ভ্রমণ পিপাসুদের সাথে আবরো নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। কিছুদিন পূর্বেও সীমান্তে ঐ নালাগুলো নামমাত্র নালা বা ছড়া ছিল। গত কয়েক বছর ধরে বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে নালা গুলো সম্প্রসারিত হয়। বর্তমানে ঐ সমস্ত নালা বা ছড়া গুলোতে দিয়ে সারা বছর কম বেশি পানি প্রবাহিত হয়ে থাকে। বর্ষায় বৃষ্টিপাত বেশী হওয়ায় ছড়াগুলো দিয়ে বেশী পানি প্রবাহিত হয় তাই বর্ষাতে এর নান্দনিকতা বেড়ে যায় বহুগুণ। ফলে বর্ষাতে যারা হাওর ঘুরতে আসনে তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোকজন সীমান্তের ঐ নালাগুলো দর্শন করে যান। সীমান্তে যে ছড়াগুলো ইতিমধ্যে পর্যটকদের মনে রেখাপাত করেছে তার মধ্যে রাজাই ঝর্না, চানপুর ছড়া, ট্যাকেরঘাট ছড়া, লাকমা ছড়া, লালঘাট ছড়া, কলাগাঁও ছড়া ও বীরেন্দ্র নগর ছড়া অন্যতম। উপজেলার ২টি ইউনিয়ন উত্তরবড়ল ও উত্তর শীপুর ইউনিয়নের ১৫ কিলোমিটার মেঘালয় সীমান্তে এ ছড়া গুলোর অবস্থান। প্রতিটি ছড়াই ভারত থেকে প্রবাহিত। শুষ্ক মৌসুমে ছড়াগুলোতে পানি কম থাকায় পর্যটকদের উপস্থিতি একটু কম দেখা যায়। তবে র্বষায় ছড়াগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় থাকে।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা দম্পতি সিনথিয়া কবির বলেন, আমরা শুধু মাত্র টাঙ্গুয়া হাওর ঘুরতে এসেছিলাম কিন্তু হাওরের পাশেই যে এত সুন্দর ছড়া রযেছে তা আমরা জানতাম না। ছড়াগুলো অনেক সুন্দর।
উপজেলার রতনশ্রী গ্রামের মাঝি শিবলী মিয়া বলেন,তিনি অনেকদিন ধরে হাওরে পযঅটকদের নিয়ে নৌকা চালান। তার মতে গত কয়েক বছর আগে শুধু মাত্র হাওর ঘুরতে লোকজন তাহিরপুর আসতো । এখন হাওরের পাশাপাশি ছড়া দেখতেও লোকজন আসে।
উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নরে সীমান্ত গ্রাম লাকমা সেখানকার মোটরবাইক চালক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, হাওর ঘুরে পর্যটকরা ট্যাকেরঘাট আসেন তার পর বিভিন্ন ছড়া দেখার জন্য মোটর সাইকলে ভাড়া করে নিয়ে যান।
সম্প্রতি তাহিরপুর ঘুরে যাওয়া ট্রাভেলার ও সাংবাদিক শাহীন আহমেদ বলেন,২০০৬ সালে প্রথম টাঙ্গুয়া হাওর ঘুরতে আসি তখন শুধু হাওর দেখতেই আসতাম। এখন হাওরের পাশাপাশি দৃষ্টি নন্দন ছড়া দেখতে এসেছি।