স্টাফ রিপোর্টার :
মহানগর বিএনপি’র সভায় ১০ বছর পর সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জননন্দিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে জড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। গত শনিবার অনুষ্ঠিত এই সভায় মহানগর বিএনপি’র অন্তর্ভূক্ত ৬ থানা কমিটি বিলুপ্ত এবং মহানগর বিএনপি’র তিন সদস্যের আপত্তিকর বক্তব্য ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করা হয়।
মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে- সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার ৬টি থানার সীমানা নির্ধারণ। এর জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ১০ দিনের মধ্যে সুপারিশমালা মহানগর কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে হস্তান্তরের সময় সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে সাংগঠনিক আহবায়ক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ৬টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। তারা ৪ দিনের মধ্যে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সুপারিশমালা আহবায়ক কমিটির কাছে জমা দেবেন। নবগঠিত কমিটির ৩ সদস্যের আপত্তিকর বক্তব্য ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে বলে সভায় উল্লেখ করে বলা হয়, দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শে দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। কোন সদস্যের এতে আপত্তি থাকলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সভায় ওইসব নেতা কর্মীদের বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহবান জানানো হয়। সিলেট মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম এর পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন-এডভোকেট নোমান মাহমুদ, নাসিম হোসেইন, এডভোকেট ফয়জুর রহমান জাহেদ, আহাদুস সামাদ চৌধুরী, রেজাউল হাসান লোদী কয়েস লোদী, এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, হুমায়ুন কবির শাহীন, আজমল বখত সাদেক, মিফতাহ সিদ্দিকী, এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল, মহবুব চৌধুরী, ডাঃ নাজমুল ইসলাম, মুফতি বদরুন নূর সায়েক, মুফতি নেহাল উদ্দিন, আব্দুস সাত্তার, মুর্শেদ মুকুল। সভায় সিটি মেয়ল আরিফুল হক চৌধুরীকে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাথে জড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বক্তারা প্রদত্ত চার্জশীটকে বানোয়াট উল্লেখ করে তা থেকে আরিফুল হক চৌধুরীর নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান।