পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
বনের গাছ চুরিতে বনকর্মী ও পাহারাদার জড়িত থাকলে তদন্তক্রমে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বন্যপ্রাণী প্রাণী ও বনাঞ্চল রক্ষায় গাছ চুরি প্রতিরোধে প্রয়োজনে জিরো টলারেন্সের মাধ্যমে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণী রক্ষায় তাদের খাদ্য উপযোগী ফলজ গাছ লাগাতে হবে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন গ্রামগুলোর মানুষজনের হাত থেকে বনকে রক্ষায় গ্রামবাসীদের সরিয়ে আলাদা আবাসন তৈরী করা যায় কিনা সে বিষয়ে ভেবে দেখা হবে। শনিবার (২৪ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় মৌলভীবাজাররে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন ও কিছু বন্যপ্রাণী অবমুক্ত এবং কিছু ফলজ বৃক্ষ রোপণ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি একথাগুলো বলেন।
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন বিকাল ৪টায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করে আধা ঘন্টার একটি একটি ট্রেইলে (পাহাড়ি পথে) সরকারী কর্মকর্তা ওরাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে হেটে বিকাল সাড়ে ৪টায় কিছু বন্যপ্রাণী অবমুক্ত করেন। বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অবমুক্ত করা প্রাণীগুলোর মাঝে ছিল ২টি অজগর সাপ, ১২টি অজগরের বাচ্চা, ২টি লজ্জাবতী বানর, ১টি মেছা বাঘ, ১টি হিমালয়ান পামসিভিট, ১টি খয়েরী ফনি মনসা, ১ টি সবজু বোড়াল ২টি কালেম পাখি, ২টি সরালী হাঁস. ১টি সঙ্খিনী সাপ। তাছাড়া ১টি বট বৃক্ষ ও বেশ কিছু ফলজ ও ওষধী গাছের চারা রোপণ করেন মন্ত্রী।
পরে লাউযাছড়া বন বিশ্রামাগারের সন্নিকটে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন বক্তব্য রাখেন। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এম. মোসাদ্দেক আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ পিপিএম, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) আশরাফুজ্জামান কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান, শ্রীমঙ্গল থানার ওসি সালেক আহমদ, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ, বাংলাদেশ বন্য প্রানী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শােিতশ রঞ্জন দেবসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও বন বিভাগীয় কর্মকতা।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের বিদি অনুযায়ী বনাঞ্চলের ১০ কি:মি: এলাকার বাইরে করাত করল করতে হবে। আর পৌরসভা এলাকায় করা যাবে। অবৈধভাবে করাতকল হলে তদন্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর যেগুলো উচ্চ আদালতের মামলাধীন রয়েছেন সেগুলো রায়েই সিদ্ধান্ত হবে। সবশেষে মন্ত্রী বরেন বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।