কীনব্রিজের নিচে ওয়াকওয়ে থেকে অবৈধ চটপটি ও চায়ের দোকান অপসারণের দাবি

54

নগরীর কীন ব্রিজের নিচে সার্কিট হাউসের সামনের পর্যটন স্পটে অবৈধভাবে চটপটি ও চা দোকান বসিয়ে এখানে আসা দর্শনার্থীদের সুন্দর পরিবেশ বিনষ্ট ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ৫১জন সচেতন নাগরিকদের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র সিলেট সিটি করপোরেশন’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীবের কাছে প্রদান করা হয়েছে।
যার ডকেট নং-৪২৬৬/২৯-১০-১৫ইং। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ছুটির দিনে অবসর সময়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে কীন ব্রিজের নিচে সুরমা নদীর পারে ওয়াকওয়েতে বেড়াতে আসেন অসংখ্য মানুষ। কিন্তু এখন এই এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে পড়েছে। কারণ সেখানে অবৈধভাবে চটপটি ও চায়ের দোকানিরা তাদের ব্যবসার জন্য পশরা সাজিয়ে ও চেয়ার বসিয়ে হাটা চলায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে। চা ও চটপটি ক্রেতার আড়ালে বখাটেরা এখানে চেয়ার জুড়ে বসে এবং উশৃঙ্খল আচরণ করে দর্শনার্থীদের মাঝে ভীতির সঞ্চার করে। চেয়ারগুলো একাধিক চটপটি দোকানিরা ওয়াকওয়েতে এমনভাবে সাজিয়েছে যে দেখে মনে হবে এটা তারা ইজারা নিয়েছে। কিন্তু না, তারা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অন্যায়ভাবে হাঁটাচলা ও বসার জায়গা দখল করে নির্বিঘেœ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বখাটে নেশাখোর সন্ত্রাসী ছেলেরা আড্ডা দেয়। ব্রিজের নিচে বসে রিক্সা চালকদের নিয়ে একশ্রেণীর বখাটেরা গাজা খাওয়ার উৎসবে মেতে উঠে। তাছাড়া এখানে এখন গিঞ্জি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন পূর্বে দু’ পক্ষের মারামারির একটি ঘটনায় এসব চটপটি দোকানগুলো ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। অনেক দর্শনার্থীরা আতংকিত হয়ে সরে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
ভদ্র লোকজন পরিবার-পরিজন নিয়ে যেতে এখন আর উৎসাহবোধ করেননা। অভিযোগ উঠেছে চটপটির দোকানের আড়ালে মাদকদ্রব্যও বেচাকেনা হচ্ছে। জনসাধারণের দাবি সার্কিট হাউস এলাকা সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানে গড়ে উঠা পর্যটন স্পটকে আরো সুন্দর করে সাজানো দরকার। সে জন্য অবিলম্বে এসব অবৈধ চটপটি ও চায়ের দোকান উচ্ছেদ করে দর্শনার্থীদের জন্য সুন্দর, নির্মল ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি