কাশ্মীরে অধিকাংশ স্কুলই ফাঁকা আরও অস্থিরতার আশঙ্কা

13

কাজিরবাজার ডেস্ক :
কাশ্মীর উপত্যকার প্রধান শহর শ্রীনগরের স্কুলগুলো খুললেও অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বাড়িতে রেখে দেয়ায় স্কুলগুলোর অধিকাংশ শ্রেণীতেই কোন শিক্ষার্থী ছিল না। সোমবার শ্রীনগরের স্কুলগুলো ঘুরে এমন দৃশ্য দেখেছেন বলে জানিয়েছেন রয়টার্সের সাংবাদিকরা। তারা নগরীর দুই ডজনেরও বেশি স্কুল পরিদর্শন করে শ্রেণীকক্ষগুলো ফাঁকা ও সেখানে অল্প কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত আছেন বলে দেখতে পেয়েছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বিলোপ করার ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের জেরে আরও অস্থিরতা দেখা দিতে বলে আশঙ্কা করছেন শ্রীনগরের বাসিন্দারা। জম্মু ও কাশ্মীরে বড় ধরনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ ঠেকাতে সেখানে নজিরবিহীন বিধিনিষেধ জারি করেছিল ভারতীয় কর্তৃপক্ষগুলো। বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ার পর শ্রীনগরের প্রায় ১৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলেছে। কিন্তু অধিকাংশ স্কুলেই শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার অত্যন্ত কম ছিল। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক চালু হলে সন্তানদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখতে পারবেন তারা, তখন বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবেন, তার আগ পর্যন্ত তাদের সন্তানরা বাসায়ই থাকবে।
কাশ্মীরে মানবাধিকার পুরোপুরি লঙ্ঘিত-মমতা : কাশ্মীর ইস্যুতে ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সোমবার বিশ্ব মানবিকতা দিবস উপলক্ষে টুইট করে তিনি জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের অধিকার পুরোপুরিভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছেন। আনন্দবাজার জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর এমন টুইটের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিজেপি। কাশ্মীরকে সম্পূর্ণরূপে ভারতের অংশ হিসেবে মমতা দেখতে চান না বলে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। সোমবার সকাল ৭টা ২ মিনিটে নিজের অফিশিয়াল এ্যাকাউন্ট থেকে টুইটটি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। টুইটের প্রথম অংশে তিনি লিখেছেন, ‘আজ বিশ্ব মানবিকতা দিবস। কাশ্মীরের মানুষদের অধিকার পুরোপুরি ভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমরা সবাই কাশ্মীরের মানবাধিকার ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করি।’