সিলেটের ১১টি উপজেলায় নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন

37

সিন্টু রঞ্জন চন্দ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে তিনটি পদে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে সিলেট জেলার চারটিসহ বিভাগের ১১টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর মধ্যেই বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। শুরু হয় গণনার কার্যক্রম।
বিভাগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত ১১টি উপজেলা হলো- সিলেট জেলার সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ, সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা, মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা এবং হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং।
সিলেট সদরে রফিক বিজয়ী: দ্বিগুণ ভোট পেয়ে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক সুজাত আলী রফিক কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ৬২টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৬১ টিতে তিনি পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৭৫ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে ছিলেন আনারস প্রতীকের আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৩০ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ উপজেলায় সংঘর্ষ, কিছু জায়গায় অনিয়ম, জাল ভোট দেওয়া ও চা শ্রমিকদের ভোট বর্জনের দিয়ে ভোগ্রহণ শেষ হয়।
এই উপজেলায় প্রার্থী ছিলেন ছয়জন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে শ্রমিক লীগ সিলেট জেলা সভাপতি মো. এজাজুল হক (মোটরসাইকেল) স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আহাদ মিয়া (দোয়াত-কলম), আওয়ামী লীগ নেতা মো. সুজাত আলী রফিক (কাপ-পিরিচ), আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম (আনারস), আওয়ামী লীগ নেতা মিল্লাত আহমদ চৌধুরী (ঘোড়া) ও স্বতন্ত্র ডা. মো. খলিলুর রহমান (টেলিফোন)।
সিলেট সদর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৯২১। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৪ হাজার ৪২০ ও নারী ভোটার ৮৭ হাজার ৫০০ জন রয়েছেন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১ জন। সাত ইউনিয়নে মোট ৬২ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে।
দক্ষিণ সুরমায় বদরুল বিজয়ী: সিলেটের দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম টেলিফোন প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে। তার নিকতম প্রতিদ্ব›দ্বী মোহাম্মদ শামীম আহমদ (মোটরসাইকেল)। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ (ঘোড়া)।
জানা গেছে, বদরুল ২১ হাজার ৭৬৮, শামীম ১৩ হাজার ৯৮৮ ও জুয়েল ১২ হাজার ৩০৭টি ভোট পেয়েছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন ৫ জন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদ (মোটরসাইকেল), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম (টেলিফোন), উপজেলা (১ম পাতার পর)
আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মইনুল ইসলাম (আনারস), যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ (ঘোড়া) ও আঞ্চালিক নাটকের অভিনেতা মো. সাহেদ মোশারফ (কাপ পিরিচ)।
বিশ্বনাথে এগিয়ে সুহেল: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী (কাপ পিরিচ) প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব হিসেবে রয়েছেন জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ (আনারস) প্রতীক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪টি কেন্দ্রের ফলাফলে এ দুই প্রার্থীর মধ্যে ৫শ’ ভোটের ব্যবধান রয়েছে বলে বেসরকারীভাবে জানা গেজে।
বিশ্বনাথ উপজেলা মোট ৭৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এই উপজেলায় মোট ভোটার ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৭ জন। যেখানে পুরুষ ভোটার ৯৭ হাজর ৬০০ জন এবং নারী ভোটার ৯১ হাজার ৩১ জন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন লড়াই করছেন।
গোলাপগঞ্জে এলিমের জয়: সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয়টি জানা গেছে। এলিমের নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ব্রাজিল যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে লড়েন।
উল্লেখ্য, গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছেন। তারা হলেন- বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম (দোয়াত-কলম), ব্রাজিল যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল (আনারস) ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ (ঘোড়া)।
শাল্লায় অবনী ও দিরাইয়ে প্রদীপ নির্বাচিত: সুনামগঞ্জে প্রথম ধাপের নির্বাচনে শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অবনী মোহন দাস বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে, দিরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়। বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রায় ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন তিনি।
শাল্লায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গনেন্দ্র চন্দ্র সরকারকে প্রায় ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন অবনী।
ঘোড়া প্রতীকে অবণীর প্রাপ্ত ভোট ২৪ হাজার ৪৩২। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী গনেন্দ্র আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭৭ ভোট।
এদিকে দিরাই উপজেলায় বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়। দোয়াত কালম প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায় ঘোড়া প্রতীকে ১৯ হাজার ৯৩৬ ভোট পেয়েছেন। অপর প্রতিদ্ব›দ্বী উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া আনারস প্রতীকে ১৫ হাজার ৪৯৭ ভোট পেয়েছেন।
উপজেলার ৭৪ কেন্দ্রের মধ্যে প্রদীপ রায় দোয়াতকলম প্রকীকে ৩০ হাজার ৪৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্ব›দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায় ঘোড়া প্রতীকে ১৯ হাজার ৯৩৬ ভোট ভোট এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া আনারস প্রতীকে ১৫ হাজার ৪৯৭ পেয়েছেন বলে জানা যায়। এই উপজেলায় ৭৪ কেন্দ্রে ভোট রয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ২২৫ ভোট।
কুলাউড়ায় উপজেলায় সাহেদ বিজয়ী: কুলাউড়া উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৩ হেভিওয়েট নেতাকে ধরাশায়ী করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সিলেটের ফুলতলী পীর সমর্থিত আল ইসলাহর প্রার্থী মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ।
বেসরকারি ফলাফল অনুসারে ১০৩টি ভোট কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৪৮ ভোটের মধ্যে দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে ৩৭ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম কাপ পিরিচ প্রতিক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৪২। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু আনারস প্রতিকে ১৭ হাজার ২৯৮ ভোট এবং আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামাল হাসান মোটর সাইকেল প্রতিকে ৫ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়েছেন।
উপজেলা ভাইস পেয়ারম্যান পদে রাজ কুমার কালোয়ার (চশমা) ৩১ হাজার ৩৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নেহার বেগম (ফুটবল) প্রতিকে ৭১ হাজার ২০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী ২১ হাজা ৫১৮ ভোট।
বড়লেখায় আজির উদ্দিন বিজয়ী: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ নেতা আজির উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ৬৯টি কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতিকে আজির উদ্দিন পেয়েছেন ৩০ হাজার ৬০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ঘোড়া প্রতিকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯২৭ ভোট। এছাড়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭৯ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে ৬৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। তবে সকালে বেশিরভাগ কেন্দ্র ফাকা থাকলেও কেন্দ্রের বাইরে মানুষের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত। অবশ্য কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিতি একটু বেশি দেখা গেছে। নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক উৎসাহ থাকলেও সাধারণ মানুষের মাঝে তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না।
জুড়ী কিশোর রায় চৌধুরী বিজয়ী:
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় কাপ-পিরিচ প্রতীকে ২০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কিশোর রায় চৌধুরী মনি। নিকটতম প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪০০ ভোট।
বানিয়াচংয়ে ইকবাল বিজয়ী: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুটি উপজেলায় একটানা চলে এ ভোট গ্রহণ। ভোট শুরু হওয়ার পর ভোটার উপস্থিত কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে ভোটার উপস্থিতি।
বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮০৩ ভোট।
আজমিরীগঞ্জে আলাউদ্দিন নির্বাচিত: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪৩ টি কেন্দ্রে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারি ভাবে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন মিয়া (কাপ পিরিচ) প্রতীকে বিজয়ী হয়েছে। তার প্রাপ্ত ভোট -১৫ হাজার ১৮২ টি।
তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি ও শিবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আমজাদ তালুকদার (কৈ মাছ) প্রতিকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৫০৩ ভোট। ২ হাজার ৬৭৯ ভোটে বেশি পেয়ে বেসরকারি ভাবে মো.আলাউদ্দিন মিয়া বিজয়ী। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) বিজয়ী মিলোয়ার হোসেন (তালা) প্রাপ্ত ভোট -১১ হাজার ৫০০ টি। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী কালীপদ পাল (টিউবওয়েল) ৯ হাজার ২৭৬ টি। ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) বিজয়ী মাহমুদা আক্তার রেপা (ফুটবল) প্রাপ্ত ভোট -১৯ হাজার ৪৩৮টি। নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী রোকসানা আক্তার (হাঁস) প্রাপ্ত ভোট -১৫ হাজার ৭০৮ টি।