ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকের পল্লীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে মহিলাসহ ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত জাবেদ আহমদ(২২)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা চরমহল্লা ইউনিয়নের কামরাঙ্গি ও আহারগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে আহারগাঁও গ্রামের মৃত ইছবর আলীর পুত্র ছোরাব আলী ও কামরাঙ্গী গ্রামের মৃত আলতাব আলীর পুত্র কয়েছ মিয়া পক্ষদ্বয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সাংঘর্ষিক ঘটনাও ঘটেছে একাধিবার। থানা ও আদালতে পক্ষে বিপক্ষে একাধিক মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। শনিবার রাতে আসামী ধরতে কামরাঙ্গি গ্রামে যায় পুলিশ। গ্রামে পুলিশ আসার বিষয়টি প্রতিপক্ষের দ্বারা করা হয়েছে বলে কামরাঙ্গি গ্রামবাসীর ধারনা। ওই রাতে কামরাঙ্গি গ্রাম থেকে একটি সোলার প্যানেল, একটি পানির ট্যাংক লুট ও গ্রামের মসজিদের একটি গেট ভাংচুর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ চলাকালে প্রতিপক্ষের লোকজন ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে বেশ কয়েকজন মুসল্লি আহত হয়। এ নিয়ে উভয় গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে টানটান উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকালে কামরাঙ্গি গ্রামের আব্দুল কাহারের বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা ও ভাংচুর চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাট ঘটে। দফায়-দফায় সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের ২০ ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত জাবেদ আহমদ (২২) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নূরুল ইসলাম (৩৫), হাফিজ জাবেদ আহমদ (২৭), আরজক আলী (৫৫), সমুজ আলী (৩৫), তৈমুছ আলী (৫০), নূর বানু (৫২), মোহনমালা (৪০), তানজিনা বেগম (২৬), পেয়ারা বেগম (২৭)সহ অনান্য আহতদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে আবারো সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টির আশংকা করা হচ্ছে। জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগে পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।