জগন্নাথপুর থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে চুরি যাওয়া ২৯টি গরু উদ্ধার

18

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুর থানা পুলিশের অভিযানে গরু চোর সিন্ডিকেটের সন্ধান পাওয়া গেছে। ২ দিনের সাঁড়াশি অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে মোট ২৯টি চোরাই গরু। এর মধ্যে ১৫টি গরুর মালিক পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ চোরকে। এ নিয়ে এলাকায় চলছে তোলপাড়।
জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ভবানীপুর গ্রামে চোরেরা ৬টি গরু পিকআপ গাড়ি যোগে চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে পিকআপ গাড়িটি খাদে উল্টে পড়ে যায়। এ সময় নব-নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর সাফরোজ ইসলাম মুন্নার সহযোগিতায় গাড়িটি আটক করা হলেও চোরেরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই জিয়া উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ দল পিকআপ গাড়ি জব্দ করেন। আটক করা হয় পিকআপ গাড়ির চালক আবদুস শহিদকে। সে ইকড়ছই গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একে একে পূর্ব ভবানীপুর গ্রামের মৃত গয়াছ মিয়ার ছেলে আনাই মিয়া (আয়না), আলখানারপাড় গ্রামের নজির আলীর ছেলে ছালিক মিয়া (বাচ্চ)ু ও মৃত আবদুস শহিদ (সাধু) এর ছেলে সানোয়ার হোসেন সানু সহ ৪ জনকে আটক করা হয়।
পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, এসআই রাজিব রহমান, এসআই জিয়া উদ্দিন, এসআই অনিক চন্দ্র দেব, এসআই মির্জা সাফায়েত ও এএসআই মনির হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দল পৃথক সাড়াশি অভিযান চালায়। শুক্র ও শনিবার ২ দিনের অভিযানে আলখানারপাড় সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে একে একে চুরি যাওয়া মোট ২৯টি গরু উদ্ধার করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চুরি যাওয়া গরুর শতশত মালিকরা জগন্নাথপুর থানার সামনে ভীড় জমান। এর মধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলের মালিকরা তাদের ১৫টি গরু শনাক্ত করেন। বাকি ১৪টি গরুর মালিক এখনো পাওয়া যায়নি। ৩১ জানুয়ারি রবিবার গ্রেফতারকৃত গরু চোরদের সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জগন্নাথপুর থানার এসআই রাজিব রহমান নিশ্চিত করেছেন।