কাজিরবাজার ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাঙালির অধিকার-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় সব সময় বঙ্গবন্ধুকে সাহস, উৎসাহ-প্রেরণা জুগিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি ছিলেন নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের এক অনন্য প্রতীক। অসীম ধৈর্যের অধিকারী বঙ্গমাতা জাতির পিতার অবর্তমানে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গমাতার ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাসে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করেও বঙ্গমাতা পরিবারের হাল ধরেছেন, দলকে সংগঠিত করেছেন। বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুকে সাহস জুগিয়েছেন। তার ছিল গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা। জাতির পিতা যখন কারাবন্দি তখন আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত ও সংগঠিত করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকা অবস্থায় জাতির পিতাকে আত্মজীবনী লেখার পরামর্শ দেন বঙ্গমাতা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মানুষের পুনর্বাসনেও অসামান্য অবদান রাখেন তিনি। বঙ্গমাতা ছিলেন আমাদের বিজয়ের সাহসী প্রেরণা।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বঙ্গমাতা তার জীবন ও যৌবন কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ছায়া হয়ে। তিনি রাজনীতিক না হয়েও রাজনৈতিক বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর বেগম মুজিব এ যুদ্ধে জাতির পিতাকে সাহস-প্রেরণা জুগিয়েছেন।
জিয়াউর রহমান-খালেদার সংসার জোড়া লাগানোর কাজও করেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তাই তাদের উচিত বঙ্গমাতাকে স্মরণ করা। আলোচনা সভায় ৮ আগষ্টকে জাতীয় দিবস ঘোষণারও দাবি জানান মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এডভোকেট তারানা হালিম। অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি ও সচিব কামরুন নাহার।