স্টাফ রিপোর্টার :
গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে সরকারী দায়িত্ব পালন করছেন এক কারারক্ষী (নং-০০৬২১)। তার নাম মো. উজ্জ্বল হোসেন । তিনি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার খারিজ্জমা গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার পুত্র। গত ১১ জুলাই সিলেট মেট্রোপলিটন-১ম আদালত দায়ের করা একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। সিআর শাহপরাণ মামলা (নং-২১৬/২০১৯)। মামলাটি দায়ের করেন তার স্ত্রী এক কন্যাসন্তানের জননী জহুরা ইসলাম নাজনীন।
অভিযোগে প্রকাশ, মো. উজ্জ্বল হোসেন কারারক্ষীর চাকরি নেয়ার পর গত ২০১৬ সালের ২১ আগষ্ট ৪ লাখ টাকা দেনমোহরে জহুরা ইসলামকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর জহুরার কোলজুড়ে আসে এককন্য সন্তান যার বর্তমান বয়স ২। বিয়ের পর থেকে বিদেশ যাত্রাসহ বিভিন্ন অজুহাতে উজ্জ্বল ও তার পরিবার নাজনীনের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় উজ্জ্বল ও তার পরিবার নাজনীনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এনিয়ে কয়েকদফা সালিশ নিষ্পত্তি হলেও নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি জহুরা ইসলাম নাজনীন। এরইমধ্যে স্ত্রী-কন্যা নিয়ে কারারক্ষী উজ্জ্বল শহরতলী বাদাঘাদে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের খোয়াই ভবনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে থাকাবস্থায় গত ২৪ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত যৌতুকের জন্য নাজনীনকে মারপিট করে সন্তানসহ তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। আর এহেন নির্যাতন ও নিপীড়নে প্ররোচণা দেন উজ্জ্বলের মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এ ঘটনায় জহুরা ইসলাম নাজনীন গত ১১ জুলাই মামলা করলে আদালত কারারক্ষী মো. উজ্জ্বল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। ইতোমধ্যে গ্রেফতারী পরোয়ানা শ্রীমঙ্গল থানাসহ আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তথ্যগোপনের মাধ্যমে উজ্জ্বল হোসেন কারারক্ষীর মত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। যৌতুক দাবি ছাড়াও উজ্জ্বল পরকীয়া প্রেমে আসক্ত বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী উজ্জ্বলের সাথে মোবাইলন ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির সত্যতা স্বীকার করে জানান, সময় স্বল্পতায় তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে পরছেন না বলে জানান তিনি।