রিফাত ফরাজী ৭ দিনের রিমান্ডে

108

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার দ্বিতীয় অভিযুক্ত রিফাত ফরাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মো. সিরাজুল ইসলাম এ আদেশ দিয়েছেন।
বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, রিফাত ফরাজীকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি অলি ও তানভীর গত ১ জুলাই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চন্দন ও হাসানকে সাত দিন এবং মো. সাগর, কামরুল হাসান সাইমুন ও নাজমুল হাসানকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহতের পর এবার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিফাত ফরাজী বরগুনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি রোড এলাকার দুলাল ফরাজীর ছেলে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
এ নিয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচজন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকালে স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নিসহ বরগুনা সরকারি কলেজে গিয়েছিল রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরো দুই যুবক রিফাতের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।