কমলগঞ্জে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন অতিষ্ঠ

21

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
প্রচন্ড খরতাপের গরমে মানুষের জীবন যখন অষ্টাগত, ঠিক তখনই মরার উপর খাড়ার গাঁ হিসেবে মৌলভীবাজারের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩৩ কেভি লাইনের সংস্কার কাজের জন্য প্রায় দীর্ঘ ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখে। এ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে অতি গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। তবে এই গরম ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বেশীই আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। সংস্কার কাজ শেষে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার পরও ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ায় কারণে বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রনিক্স পন্য সামগ্রী বিকল হচ্ছে।
এদিকে গত ২৩ জুন থেকে স্কুল ও মাদ্রাসার ১ম সাময়িকী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এতে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বার বার মূর্ছা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। অধিক সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা চলাকালীন অবস্থায় অতি গরম ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে পাড়ছেন না তাঁরা।
পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পবিস কমলগঞ্জ কার্যালয়ের অধীন কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার ৮৯ হাজার গ্রাহক রয়েছে। ৩৩ কেভি ফিডার লাইনের বাৎসরিক উন্নয়ন কাজের জন্য গত ২২ জুন (শনিবার), ২৫ জুন (মঙ্গলবার) ও ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত পূর্ব ঘোষণা দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। কমলগঞ্জ উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় চলেছে এখানের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। কয়েক হাজার গ্রাহকের দুর্ভোগের বিষয়টি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ মোটেই আমলে নিচ্ছেন না। ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার ঘটনায় উপজেলার পল্লী ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের গ্রাহকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ। বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ ও তথ্য কেন্দ্রের মোবাইল ফোনটি সারাক্ষণই ব্যস্ত রাখা হয় ইচ্ছে করে। ফলে কোন তথ্য জানারও উপায় থাকে না। এ রকম নানা অব্যবস্থাপনার কারণে অতি গরমের সময়েও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
পবিস কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম মোবারক হোসেন সরকার বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কাজের জন্য পূর্ব ঘোষণা দিয়ে এলাকায় মাইকিং করে ৩ দিন আমরা সাময়িক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অতিরক্তি লোড ও রোদ্রের খরতাপে কারনে বিভিন্ন স্থানের লাইনের জাম্পতার ছিঁড়ে যাওযার কারনে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হওয়ার পরও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হওয়ার গ্রাহকদের কষ্ট হচ্ছে। আমরা শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।