রোজার উৎপত্ত্বি, গুরুত্ব ও মর্যাদা

90

ডাঃ হাফেজ মাওলানা মোঃ সাইফুল্লাহ মানসুর
রোজা ফারসি শব্দ যার আরবী হচ্ছে সওম, বহুবচনে সিয়াম। সওম বা সিয়ামের বাংলা অর্থ বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তে সওম হল আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে নিয়্যতসহ সুবহে সাদিকের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যস্ত সমস্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
২য় হিজরীর শাবান মাসে মদীনায় রোজা ফরজ সংক্রাস্ত আয়াত নাজিল হয়। আল্লাহ বলেন “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো যেভাবে তা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা সংযমী হও। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৩)।
আলোচ্য আয়াতের মর্মার্থে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, আদিকাল হতেই সাওম বা রোজা প্রচলিত ছিলো। তবে তার নিয়ম-নীতি ছিলো বিভিন্ন রকম। হযরত আদম (আঃ) হতে শুরু করে বিশ্বের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত সব নবী-রাসূলগণই রোজা পালন করেছিলেন। হযরত মুসা (আঃ), হযরত ঈছা (আঃ) এবং তাঁদের উম্মতগণ সকলেই রোজা পালন করেছেন। যদিও ধরন ও প্রক্রিয়াগতভাবে তাদের ‘সাওম’ আমাদের থেকে কিছুটা ভিন্নতর ছিলো। আল্লামা ইমাদুদ্দীন ইবনে কাসীর (রহঃ) বলেন, ইসলামের প্রাথমিক যুগে তিন দিন রোজার বিধান ছিলো। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মদীনায় এসে দেখতে পেলেন, ইহুদীরা আশুরার দিন রোজা পালন করছে। হুজুর (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, কী ব্যাপার তোমরা এদিনে রোজা পালন করো কেন? তারা বললো, এদিন অতি উত্তম। এদিনে আল্লাহতায়ালা বনী ইসরাইলকে শত্রুর কবল থেকে নাজাত দান করেছেন। তাই হযরত মুসা (আঃ) এদিনে রোজা পালন করেছেন। এ কথা শুনে রাসূলে খোদা (সাঃ) বললেন, আমি তোমাদের চেয়ে মুসা (আঃ)-এর অধিক নিকটবর্তী। অতঃপর তিনি এদিন রোজা পালন করেন এবং সহচরদেরও রোজা পালনের নির্দেশ দেন।
তবে ইসলাম রোজা পালনের ক্ষেত্রে অন্যান্য ধর্মের বিপরীতে বেশকিছু পরিবর্তন করেছে। যেমন ইহুদীদের দৃষ্টিতে রোজা ছিলো বেদনা ও শোকের প্রতীক। আবার কোনো কোনো ধর্মে একটানা চল্লিশ দিন পর্যন্ত খাদ্যগহণ নিষিদ্ধ ছিলো। কোনো কোনো ধর্মে গোস্ত জাতীয় খাদ্য বর্জনই রোজার জন্যে যথেষ্ট মনে করা হতো। এছাড়া যে কোনো প্রকার খাদ্য ও পানীয় গ্রহণের ব্যাপারেও কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিলো না। পক্ষান্তরে ইসলাম এসব মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি এবং প্রয়োজনাতিরিক্ত উদারতা সমর্থন করেনি। ইসলামের দৃষ্টিতে রোজা এমন এক সার্বজনীন ইবাদত যা রোজাদারকে দান করে সজীবতা, হৃদয়ের পবিত্রতা, চিন্তা ধারার বিশুদ্ধতা। এ রোজার মাধ্যমে বান্দা লাভ করে এক রুহানী শক্তি ও মনের তৃপ্তি, নূতন উদ্যমত্ত প্রেরণা। রোজার উপর আল্লাহতায়ালা যে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন, তা এক মুহূর্তে মানুষকে করে তুলে ভোগে বিতৃষ্ণ, ত্যাগে উদ্বুদ্ধ এবং আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান। হাদিসে কুদসীতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এরশাদ করেছেন, ‘রোজা আমার জন্যে এবং আমি নিজেই এর পুরস্কার দান করবো’ অথবা ‘আমিই এর প্রতিদান’। ইসলামপূর্ব অন্যান্য ধর্মেও রোজা প্রচলন ছিলো সত্য। কিন্তু তাতেও কোনো কোনো ধর্মে রোজার ব্যাপারে বেশ স্বাধীনতা ছিলো। এ অবাধ স্বাধীনতা রোজার ভাবমূর্তি ও প্রাণশক্তি সম্পূর্ণরূপে শেষ করে দিয়েছিলো। চারিত্রিক মহত্ত্ব, নৈতিক পরিচ্ছন্নতা, চিন্তার বিশুদ্ধতা, আত্মিক পবিত্রতা এবং আল্লাহ নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম রোজা কালক্রমে অন্তসারশূন্য নিছক এক অনুষ্ঠানে পর্যবসিত হয়ে পড়েছিলো। এরূপ নাজুক অবস্থা থেকে রোজাকে রহমত, বরকত, মাগফেরাতের দিকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এবং একে আত্মিক নৈতিক ও চারিত্রিক কল্যাণের ধারক বানানোর নিমিত্তে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রোজাকে উম্মতের উপর ফরজ বা অবশ্য পালনীয় করেছেন।
সূরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সেই মাসকে পায় সে যেন রোজা রাখে”।
পবিত্র রমজানের ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে হাদিসের কিতাবগুলোতে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এর ভেতর থেকে কিছু হাদিস এখানে উল্লেখ করা হলো-
প্রিয় নবীজী (সা.) এর প্রিয় সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন, রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, যখন রমজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। (বুখারী, মুসলিম)
অপর হাদিসে এসেছে, হযরত শাহ্ ইবনে সা’দ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সা.) এরশাদ করেছেন, বেহেশতের ৮টি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে ১টি দরজার নাম রাইয়ান। রোজাদার ব্যতিত আর কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারী, মুসলিম)
বিখ্যাত হাদিস বিশারদ সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, হুজুর (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে রমজান মাসের রোজা রাখবে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসের রাতে এবাদত করে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করে কাটাবে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারী, মুসলিম)
হাদিসে আরো এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, রোজা ছাড়া আদম সস্তানের প্রত্যেকটি কাজই তার নিজের জন্য। তবে রোজা আমার জন্য। আমি নিজেই এর পুরস্কার দেব। রোজা (জাহান্নামের আজাব থেকে বাঁচার জন্য) ঢাল স্বরুপ।
তোমাদের কেউ রোজা রেখে অশ্লীল কথাবার্তায় ও ঝগড়া বিবাদে যেন লিপ্ত না হয়।
কেউ তার সঙ্গে গালমন্দ বা ঝগড়া বিবাদ করলে শুধু বলবে, আমি রোজাদার।
সেই মহান সত্তার কসম যার করতলগত মুহাম্মদের জীবন, আল্লাহর কাছে রোজাদারের মুখের গন্ধ কস্তুরীর সুঘ্রাণের চেয়েও উওম। রোজাদারের খুশির বিষয় ২টি- যখন সে ইফতার করে তখন একবার খুশির কারণ হয়। আর একবার যখন সে তার রবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রোজার বিনিময় লাভ করবে তখন খুশির কারণ হবে। (বুখারী)।
অপর একটি হাদিস হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন, রাসূলে পাক (সা.) বলেছেন, রোজা এবং কোরআন (কেয়ামতের দিন) আল্লাহর কাছে বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে পরওয়ারদিগার! আমি তাকে (রমজানের) দিনে পানাহার ও প্রবৃত্তি থেকে বাধা দিয়েছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। কোরআন বলবে, আমি তাকে রাতের বেলায় নিদ্রা হতে বাধা দিয়েছি।
সুতরাং আমার সুপারিশ তার ব্যাপারে কবুল করুন। অতএব, উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে (এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে)। (বায়হাকী)
হাদিস শরীফে আরো এসেছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যখন রমজানের প্রথম রাত আসে শয়তান ও অবাধ্য জিনদের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়। দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অত:পর এর কোনো দরজাই খোলা হয় না। বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। অতপর এর কোনো দরজাই বন্ধ করা হয় না।
এ মাসে এক আহ্বানকারী আহ্বান করতে থাকে, হে ভালোর অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে মন্দের অন্বেষণকারী! থামো।
আল্লাহ তায়ালা এ মাসে বহু ব্যক্তিকে দোযখ থেকে মুক্তি দেন। আর এটা এ মাসের প্রতি রাতেই হয়ে থাকে। (তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, যখন রমজান মাস উপস্থিত হতো রাসূল (সা.) সমস্ত কয়েদিকে মুক্তি দিতেন এবং প্রত্যেক প্রার্থনাকারীকে দান করতেন। (বায়হাকী)
হাদিসের বইয়ে আরো পাওয়া যায়, নবী করীম (সা.) বলেছেন, কেউ যদি (রোজা রেখেও) মিথ্যা কথা বলা ও খারাপ কাজ পরিত্যাগ না করে তবে তার শুধু পানাহার ত্যাগ করা (অর্থাৎ উপবাস ও তৃষ্ণার্ত থাকা) আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (বুখারী)
পবিত্র রমজান মাস মহান আল্লাহর সঙ্গে প্রিয় বান্দার প্রেম বিনিময়ের সবচেয়ে উত্তম সময়। এই মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। তাই এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা বেড়ে গেছে আরো বহুগুণ।
রমজানের ফজিলত নিয়ে আরো অনেক হাদিস বিভিন্ন সাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে।
হযরত সালমান ফারসী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, একবার রাসূল (সা.) আমাদের শাবান মাসের শেষ তারিখে ভাষণ দান করলেন এবং বললেন, হে মানবমন্ডলী! তোমাদের প্রতি ছায়া বিস্তার করেছে এক মহান মাস, মোবারক মাস। এটি এমন মাস যাতে একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ তায়ালা এই মাসের রোজাগুলোকে করেছেন (তোমাদের ওপর) ফরজ আর রাতে নামাজ পড়াকে তোমাদের জন্য করেছেন নফল।
এই মাসে যে ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশে ১টি নফল আমল করল সে ওই ব্যক্তির সমান হলো, যে অন্য মাসে ১টি ফরজ আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি এই মাসে ১টি ফরজ আদায় করলো সে ওই ব্যক্তির সমান হলো, যে অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায় করলো।
এটা ধৈর্য্যের মাস। আর ধৈর্য্যের সওয়াব হলো বেহেশত। এটা সহানুভূতি প্রদর্শনের মাস। এটা সেই মাস যে মাসে মুমিন বান্দার রিজিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে তা তার জন্য গুনাহ মাফের এবং দোযখের আগুন থেকে মুক্তির কারণ হবে। এছাড়া তার ছওয়াব হবে রোজাদার ব্যক্তির সমান। অথচ রোজাদার ব্যক্তির সওয়াব কমবে না।
এসব শুনে সাহাবীরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি তো এমন সামর্থ্য রাখেনা যে রোজাদারকে (তৃপ্তি সহকারে) ইফতার করাবে? রাসূল (সা.) বললেন, আল্লাহ পাক এই ছওয়াব দান করবেন যে রোজাদারকে ইফতার করায় এক চুমুক দুধ দিয়ে, অথবা একটি খেজুর দিয়ে, অথবা এক চুমুক পানি দিয়ে। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তির সঙ্গে খাওয়ায় আল্লাহ তায়ালা তাকে হাউজে কাউছার থেকে পানি পান করাবেন যার পর সে পুনরায় তৃষ্ণার্ত হবে না জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যস্ত।
এটা এমন পবিত্র মাসের প্রথম দিক রহমত, মাঝের দিক মাগফিরাত, আর শেষ দিক হচ্ছে দোযখ থেকে মুক্তির। যে ব্যক্তি এই মাসে আপন অধীনস্থ দাস-দাসীদের কাজের বোঝা হালকা করে দেবে মহান আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন এবং তাকে দোযখ থেকে মুক্তি দান করবেন। (বায়হাকী)
প্রিয় নবীর প্রিয় সাহাবী হযরত আবু ওবায়দা (রা.) রমজানের গুরুত্ব সম্পর্কে আরেকটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, হুজুর (সা.) এরশাদ করেছেন, রোজা মানুষের জন্য ঢালস্বরূপ যতক্ষণ পর্যস্ত তা ফেড়ে না ফেলা হয় (অর্থাৎ রোজা মানুষের জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে যতক্ষণ পর্যস্ত তা নিয়ম অনুযায়ী পালন করা হয়)। (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)
সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে এ সম্পর্কে আরেকটি বর্ণনা এসেছে। তিনি বলেছেন, হুজুর (সা.) এরশাদ করেছেন, অনেক রোজাদার ব্যক্তি এমন রয়েছে যাদের রোজার বিনিময়ে অনাহারে থাকা ব্যতিত আর কিছুই লাভ হয় না। আবার অনেক রাত জাগরণকারী এমন রয়েছে যাদের রাত জাগার কষ্ট ছাড়া আর কিছুই লাভ হয় না। (নেক আমল যদি এখলাস ও আস্তরিকতার সঙ্গে না হয়ে লোক দেখানোর উদ্দেশে হয় তাহলে এর বিনিময়ে কোনো সওয়াব পাওয়া যায় না)। (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) আরো বলেছেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে শরীয়ত সম্মত কোনো কারণ ছাড়া রমজানের একটি রোজাও ভাঙে সে রমজানের বাইরে সারাজীবন রোজা রাখলেও এর বদলা হবে না। (তিরমিযী, আবু দাউদ)
রমজানের ফজিলত সম্পর্কে বিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, রমজানের জন্য বেহেশত সাজানো হয় বছরের প্রথম থেকে পরবর্তী বছর পর্যস্ত। তিনি বলেন, যখন রমজান মাসের প্রথম দিন উপস্থিত হয় বেহেশতের গাছের পাতা হতে আরশের নিচে বড় বড় চোখ বিশিষ্ট হুরদের প্রতি বিশেষ হাওয়া প্রবাহিত হয়। তখন তারা বলে, হে পালনকর্তা! আপনার বান্দাদের মধ্য হতে আমাদের জন্য এমন স্বামী নির্দিষ্ট করুন যাদের দেখে আমাদের চোখ জুড়াবে এবং আমাদের দেখে তাদের চোখ জুড়াবে।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে পবিত্র রমজানের ফজিলত জেনে বেশি বেশি নেক আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।