বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরল ২০ বাংলাদেশী

20

মাহবুব আহমদ খান বিয়ানীবাজার থেকে :
ভারতের আসাম রাজ্যের বিভিন্ন কারাগারে সাজাভোগের পর গত শনিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছে ২০ বাংলাদেশি। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ তাদেরকে গ্রেফতার করে সেখানকার বিভিন্ন জেলে পাঠিয়েছিল।
আদালতের বিচারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পরও নানা জটিলতায় তাদের দেশে ফেরা বিলম্বিত হয়। অবশেষে সব জটিলতা নিরসনের পর বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে তারা নিজ মাতৃভূমিতে ফিরলো। এ সময় বন্দীদের নিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসা স্বজনদের মধ্যে আবেগ ঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
আসামের গোহাটিতে বাংলাদেশের নিযুক্ত সহকারি হাই কমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর ও মৌলভীবাজারের সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মচারী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমলেন্দু কুমার দাশের বিশেষ প্রচেষ্টায় এসব বন্দীরা নিজ দেশে ফিরতে পেরেছে।
সাজাভোগের পর দেশে ফেরা বন্দীরা হল- বড়লেখার ভোলারকান্দি গ্রামের চান্দ আলী, মোহাম্মদনগর গ্রামের মো. ইব্রাহিম আলী, জুড়ীর সাগরনালের ফারুক মিয়া, জকিগঞ্জের এওলাসার গ্রামের সুজিত চন্দ্র দাস, হাতিধর গ্রামের ইকবাল হোসেন, নয়াগ্রামের শামীম আহমদ, ফিল্লাকান্দি গ্রামের আজিম উদ্দিন, রহিম খার চকের শেখর নমশুদ্র, সিলেটের গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জের আহমেদ উদ্দিন, ভদ্রা গ্রামের দেবদাস রবিদাস, কানাইঘাটের জোয়ারীমাটি গ্রামের আব্দুল গফুর, বিষ্ণুনগর গ্রামের বাদল মিয়া, বিশ্বনাথের লালটেকের ইছহাক আলী, হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ছায়াদ আলী আমিন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম কাকুরিয়ার রবিন্দ্র দাস, মিটামইনের দিজেন্দ্র চন্দ্র দাস, কুলিয়াচরের শাহ আলী মিয়া, নরসিংদীর পাচদোনার আব্দুল লতিফ, কক্সবাজারের শ্যামল জাল দাস ও আলো রানী জাল দাস।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফায়জুর রহমান ভারতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগের পর ২০ বাংলাদেশি বন্দী বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত শনিবার বিকেলে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বন্দীদের হস্তান্তর করেছে। পরে স্বজনরা তাদেরকে বাড়ি নিয়ে গেছেন।
এদিকে গত ১৯ জানুয়ারি আসামের গোহাটিতে বাংলাদেশের নিযুক্ত সহকারি হাই কমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুরের প্রচেষ্টায় একই সীমান্ত দিয়ে আরো ২১ বাংলাদেশি বন্দী ভারত থেকে দেশে ফিরেছিল।