স্টাফ রিপোর্টার :
টানা তাপদাহের পর নগরীতে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে মেঘলা আবহাওয়া থাকার পর বেলা ১২টার দিকে প্রশান্তির এই বৃষ্টি নামে। গতকাল শনিবার প্রায় ১ ঘণ্টার মাঝারি ধরনের এ বর্ষণে প্রাণ ফিরে পায় রুক্ষতায় ভরা সবুজ প্রকৃতি। বৈশাখের প্রখরতায় তৃৃষ্ণার্ত হয়ে ওঠা পশু-পাখিরা বৈশাখী ধারায় যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে।
গতকাল শনিবারের বৃষ্টির ব্যাপারের গত বৃহস্পতিবার রাতেই আগাম বার্তা জানিয়েছিলেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। তিমি বলেছিলেন শনিবার থাকে আগামী ৩ মে পর্যন্ত সিলেটে মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার তিনি জানান, বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এটি মৌসুমি বৃষ্টি। রাতেও অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণও হতে পারে। পুরো বৈশাখ মাস এভাবেই চলতে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মাসের শেষ দিকে মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। এ ছাড়া, দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২-৩ দিন মাঝারি/তীব্র বজ্রঝড় (কালবৈশাখী) ও দেশের অন্যত্র ৩-৪ দিন হালকা/মাঝারি/বজ্রঝড় (কালবৈশাখী) হতে পারে। মে মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১-২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।