বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শষ্যা বিশিষ্ট নতুন ভবন উদ্বোধন হলেও কার্যক্রম শুরু হয় নি। উদ্বোধনের পর ইতিমধ্যে পেরিয়ে গেছে ৩ মাসেরও বেশী সময়। গত ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এমএমান্নান ও সুনামগঞ্জ-১ এর সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর ডাক্তার নার্স স্টাফ সহ স্বাস্থ্য সেবার মান কিছুটা বাড়বে এ আশা জনমনে সঞ্চার হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। এখনো ৫০ শয্যা হাসপাতালের জন্য নতুন কোন কিছু চোখে পড়েনি স্থানীয়দের। ভবন উদ্বোধনের পর ৩ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পুরনো ভবনেই স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। ফলে ৫০ শয্যা হাসপাতালে যে ধরণের চিকিৎসা সেবা পাওয়া কথা উপজেলা বাসীর তা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। জানা যায় স্বাধীনতাত্তোর তাহিরপুর উপজেলায় ৩০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাহিরপুরবাসীর চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। আড়াই লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর উপজেলায় চিকিৎসাসেবা আর একধাপ এগিয়ে নিতে সরকারীভাবেই তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি কে ৫০ শয্যায় উনীœতকরণ করা হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় আসবাস পত্র ও লোকবল সংকটের কারণে উন্নীতকরণের সেবা পাচ্ছে না তাহিরপুর বাসী।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মানিখখিলা গ্রামের আব্দুল লতিফ বলেন, নতুন ভবেন কাজ শুরু করলে ভর্তিকৃত রোগীরা একটু আরামে থাকতে পারবে।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, অনেক দিন হল নতুন ভবন উদ্বোধন হয়েছে কিন্তু নতুন ভবনে কোন কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার সুমন বর্মন বলেন, পুরনো ভবেন বসার স্থান সংকট বর্তমানে ডাক্তার ও স্টাফ সহ যারা রয়েছেন তাদের বসতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইকবাল হোসেন বলেন, লোকবল ও প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র সংকটরে কারনে নতুন ভবনে কার্যক্রম চালানো যাচ্ছেনা। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত করেছি।