সিলেটে অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন : দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে শহীদ জিয়া দূরদর্শী অবদান রেখেছিলেন

25

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। যার সুফল আজও বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করছেন। ১৯৭৬ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলার গরিব জনগোষ্ঠী কথা চিন্তা করে গর্ভকালীন সময় মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেন যা পরবর্তীতে প্রসংশনীয় হয়ে উঠে। প্রেসিডেন্টের এক অধ্যাদেশে ১৯৭৯ সালে নবজাতকের মৃত্যুর হার নিয়ে (আইসিডিডিআরবি)’র গবেষণায় তৈরী হয় ‘টিটেনাস টিকা’। এই টিকায় নবজাতকের মৃত্যুর হার ৭৫ শতাংশে কমে আসে। বাংলাদেশে কার্যকর উদ্যোগের ফলে ১৯৯১ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকারের সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা ‘টিটেনাস টিকা’ কর্মসূচি গ্রহণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ও ইউনিসেফের উদ্যোগে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১২০টি দেশে এর কার্যক্রম আছে। বাংলাদেশে বর্তমানে স্বাস্থ্য অর্থনীতি খাতে সার্কভোক্ত দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা খাতে সবচেয়ে কম বজেট বরাদ্দ। হাসপাতালগুলোতে বড়-বড় ভবন হচ্ছে, কিন্তু সেবা আর চিকিৎসার মান বাড়ছে না। স্বাধীনার পর তলাবিহীন ঝুড়ি রাষ্ট্রকে স্ব-নির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে তিনি শনিবার বিকালে নগরীর শহীদ সুলেমান হলে ‘সফল রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীরউত্তম’র রাজনীতি ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, শহীদ জিয়ার ঐতিহাসিক ১৯ দফার মধ্যে ১০ দফা হল ‘দেশবাসীর জন্য নূন্যতম চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা’ যা তিনি বাস্তবে করে দেখিয়েছেন। স্বাধীনতার পরপরই অপুষ্টি, জন্মহার বৃদ্ধি, গুটি বসন্ত, ডায়রিয়া, কলেরা ও অন্যান্য জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাবে জনস্বাস্থ্য কাঠামো ভেঙে পরেছিল যার প্রতি দ্রæত মনোযোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়া।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জি কে গৌছ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, ড. সাজেদুল করিম, ডা. শিব্বির আহমদ শিবলী, অধ্যাপক মোজ্জামেল হক। -বিজ্ঞপ্তি