যত্রতত্র মেডিক্যাল কলেজ করার অনুমোদন দেয়া হবে না – প্রধানমন্ত্রী

72
জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ ও জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ এর উদ্বোধন এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে সংগৃহীত সরকারি এ্যাম্বুলেন্স, জীপ গাড়ী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথা জানিয়ে বলেছেন, শিক্ষার মান রক্ষায় যত্রতত্র মেডিক্যাল কলেজ করার অনুমতি দেয়া হবে না। আমরা শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক না, সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী চিকিৎসার সেবা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। দেশের সব নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী দেশের চিরায়ত চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা চিরায়ত স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতিকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা ভেষজ, আয়ুর্বেদিক, ইউনানী এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা উপেক্ষা করতে পারি না এবং মানুষের চিকিৎসার সুবিধার জন্য এগুলোর উন্নয়নের জন্য আরও গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ বর্তমানে মান সম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে এবং বিদেশে এর চাহিদা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি চিরায়ত ওষুধেরও ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ ও জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সংগৃহীত সরকারী এ্যাম্বুলেন্স ও জিপগাড়ির চাবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন। ‘স্বাস্থ্যসেবার অধিকার শেখ হাসিনার অঙ্গীকার’ শীর্ষক স্লোগানে এবার ১৬ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ পালিত হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালিকের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব ছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমাদের অনলাইনে চিকিৎসাসেবা দিতে পারছি। এখন স্বাস্থ্যক্ষেত্রে স্বাস্থ্য তথ্য বাতায়ন সৃষ্টি করেছি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলায় চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা আছে, ওয়েব ক্যামেরা দেয়া হয়েছে প্রত্যেক উপজেলায়। কাজেই ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা ঘরে ঘরে বসে যাতে পেতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথা উল্লেখ করে এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এই সেবাটা বিশেষ করে অনলাইনের সেবাটা ভবিষ্যতে আরও ভালভাবে দিতে পারব বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ১০ বছরে আমরা স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক উন্নতি করেছি। প্রথমবার সরকারে আসার পর আমরা ঢাকায় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করেছিলাম। এরপর দ্বিতীয়বার থেকে শুরু করে আমরা চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীÑ তিনটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রত্যেকটা বিভাগে একটা করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি বলেন, মেডিক্যাল কলেজ তৈরির ক্ষেত্রেও অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে যে, কত ছাত্র, কত শিক্ষক, শিক্ষার মানটা কতটুকু হবে। আমাদের অভ্যাস আছে একটা যখন শুরু হয় তখন সবাই সেটা করতে চায়। কোনভাবেই যত্রতত্র করতে দেয়া হবে না। কারণ শিক্ষাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নার্সিংটা একসময় আমাদের চাকরির ক্ষেত্রে খুব নি¤œ পর্যায়ের ছিল। আমি তাকে উচ্চ পর্যায়ে তুলে দিই। একসময় ডিপ্লোমা নার্সিং ছিল। কেবলমাত্র ডিপ্লোমা নার্সিং ট্রেনিং করা হতো। যে কোন বিষয়ে পড়াশোনা করে নার্সিংয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের একটা সমস্যা রয়েছে। কেউ যদি নার্সিংয়ে আসতে চায় তাকে সায়েন্সের স্টুডেন্ট হতে হবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে আমি নির্দেশ দিয়েছি, এ রকম কোন বাধ্যবাদকতা থাকা উচিত না। বরং নার্সিং পড়ার সময় সায়েন্সের যে সাবজেক্টটা যতটুকু প্রয়োজন সেটা নার্সিং শিক্ষার যে কারিকুলাম সেখানে সংযুক্ত করে দিতে হবে এবং যে কোন সাবজেক্টে পড়ুক না কেন নার্সিংয়ে সবাই আসতে পারবে, সেই ব্যবস্থাটা করে দিতে হবে।
চিকিৎসা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আরও যতœবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাক্তার-নার্স নিয়োগ দিয়েছি এবং আরও যাতে উন্নতমানের হয় সেই ব্যবস্থা করছি। এখনও কিছু কিছু উপজেলায় ডাক্তারের অভাব রয়েছে। সেই অভাবটা পূরণ করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি সুষমখাদ্য যাতে মানুষ গ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারে আরও প্রচার দরকার বলে মত দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইদানীং কিছু কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব একটু বেশি মাত্রায় দেখতে পাচ্ছি। সেজন্য সেগুলোর চিকিৎসাটা দেশের প্রত্যেকটি জেলা হাসপাতালে করা যেতে পারে তার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এক্ষেত্রে কিডনি, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ অগ্নিদুর্ঘটনায় বার্ন হওয়া রোগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষকে আরও স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। কারণ প্রায় দেখা যায় যে, কারও হার্ট ডিজিস হচ্ছে, হঠাৎ স্ট্রোক হচ্ছে বা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ দেখা দিচ্ছে। তাহলে আমাদের খাওয়া-দাওয়া চলাফেরার ক্ষেত্রে আরও সচেতনতার সৃষ্টি হওয়া দরকার। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক না, আমরা সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী চিকিৎসার ব্যবস্থা নিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী ভেষজ চিকিৎসার বিষয়ে জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের দেশে আরেকটা বিষয় যেটা আমরা অবহেলা করতে পারি না। ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশ এখন উন্নত মানের ওষুধ করে, সেটা রফতানিও করে। পাশাপাশি আমাদের দেশে যেমন কিছু দেশজ ওষুধ আছে সেদিকেও যতœবান হতে হবে। তিনি বলেন, সারাবিশ্বে এখন ভেষজ জিনিসের ভীষণ চাহিদা আছে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, ইউনানী চিকিৎসা, ভেষজ চিকিৎসা বা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ওপরও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এর ওপর গবেষণা প্রয়োজন। এই চিকিৎসা যেন মানুষ নিতে পারে আমরা সেদিকে দৃষ্টি দেব।
প্রতিবন্ধীদের বিশেষ ভাতা দেয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার বা প্রতিবন্ধী এ ধরনের ক্ষেত্রে যাদের সন্তান আছে তাদের প্রত্যেকটি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। বিশেষ ভাতা দিচ্ছি। আগামীতে আরও একটা বৃদ্ধি করব। সেনশাস রিপোর্টটা এলে আমরা সঠিক সংখ্যাটাও জানতে পারব। কারণ সেনশাস রিপোর্টে যাতে সঠিক সত্য আসে, সেটাও আমরা ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
অটিজম বিষয়ে এখন যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে, সায়মা হোসেন (প্রধানমন্ত্রীর কন্যা) এ ব্যাপারে যথেষ্ট অবদান রেখেছে। শুধু বাংলাদেশে না, আন্তর্জাতিকভাবেও। তিনি বলেন, বিষয়টা নিয়ে অভিভাবকরা যাতে করে একটা শিশু জন্মের পর থেকে অটিজমের কোন সিমট্রোম আছে কি না, সেটা যেন ধরতে পারে, জানতে পারে বা প্রতিবন্ধিতা আছে কি না তা জানতে পারে। এসব বিষয় সম্পর্কে যাতে অভিভাবক শুরুতেই সচেতনতা অর্জন করতে পারে আর সঙ্গে সঙ্গে যেন চিকিৎসাসেবাটা দেয়া যেতে পারে, এ ব্যাপারেও আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল, সবাই বলে। এই কথাটা আমাদের মনে রাখতে হবে। আর মনে রেখেই আমাদের সরকার সব সময় চেষ্টা করেছে, আমরা দেশের মানুষের কল্যাণ, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন, মানুষকে উন্নত জীবন দান, এটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার শুধু স্বাধীনতাই দেননি, মানুষের জীবন মান উন্নয়ন করার বিষয়গুলোকেও তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা যাতে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছায় সে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। আমরা ১৯৯৬ সালে যখন প্রথম সরকার গঠন করার পরই স্বাস্থ্যসেবার ওপর গুরুত্ব দেই এবং কিভাবে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো যায়, তার পদক্ষেপ নেই। তিনি বলেন, শুধু সরকারীভাবে চিকিৎসাসেবা নয়, বেসরকারী খাতেও যাতে হাসপাতাল গড়ে ওঠে, চিকিৎসাসেবা মানুষ পেতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে হাসপাতাল নির্মাণে এবং মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মেশিনারিজ থেকে শুরু করে যা যা প্রয়োজনীয় জিনিস দরকার, সবগুলোর ট্যাক্স কমিয়ে বা প্রত্যাহার করি। এমনকি শিশুদের জন্য ইনকিউবেটর প্রয়োজন সেটা সম্পূর্ণ ট্যাক্স ফ্রি করে দেই। যাতে করে বেসরকারী খাত এই স্বাস্থ্যসেবায় এগিয়ে আসতে পারে। সেই সঙ্গে বিশেষায়িত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলাম।
সুষম খাদ্য গ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে আরও প্রচার দরকার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু অসুখ হলে চিকিৎসা দেব, সেটা না। অসুখ যাতে না হয় তার জন্য কিভাবে ব্যবস্থা নেয়া যায়, সে ব্যাপারেও আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জিপগাড়ি উপহার দেয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জিপগাড়ি উপহার দিলাম, যারা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে যাবে, সে যেন এই গাড়িটা ব্যবহার করতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই দিয়েছি। তবে এখানে অনুরোধ করব, সবাইকে সবসময় যে গাড়িতেই চলতে হবে, তা না। কেউ সাইকেলেও চড়তে পারেন, সাইকেল চালনা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। গ্রামের সব জায়গায় কিন্তু জিপ চলবে না। সেখানে কিন্তু সাইকেলে করেও যেতে পারেন। সাইকেলে যদি দিনে একবার করে চড়েন শরীরের জন্য ভাল একটা শরীরচর্চা হবে।
এ্যাম্বুলেন্সগুলো ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক এ্যাম্বুলেন্সের যদি কোন একটা চাকা নষ্ট হয়, সেই একটা চাকা কেনার যে পয়সা সরকার থেকে নিতে হবে, ওই পয়সা আসতে আসতে চার চাকাই নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য ইতোমধ্যে আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলেছি, সামনে বাজেট আছে, এই বাজেটে একটা থোক বরাদ্দ চাইতে হবে। যার মাধ্যমে আমরা যেন সেগুলোকে মেরামত করার সুযোগ পান। হয়ত কিছু সিস্টেম লস হবে, কিন্তু এই যে একটা চাকার জায়গায় চারটা চলে যাওয়ার মতো এত লস হবে না, সেটা হল বাস্তবতা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে সুপেয় পানীর ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আর যেখানে যেখানে বাকি আছে, সেখানেও করে দিচ্ছি। স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, পুষ্টিকর খাদ্য এবং সুন্দরভাবে বাঁচা, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের সরকার কাজ করে যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে।