শেখ মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক
অপরিচিতকে আনিলে ধরণীর বুকে,
পাহাড়-পর্বত, সমুদ্র-সম প্রতিকূলতা রুখে।
রচিলে তব নীড় আপনও সুখে,
কী জানি কী মোহে, যাচিলাম সে নিজ চোখে।
পাড়িলাম ডাক,
বাড়ালাম হাত,
সে’তো স্তম্ভিত, হতবাক!
মৌনতায় কাটে ক্ষণকাল,
পাহাড় উল্টে হল যেন ঢাল,
লুপ্ত হল হেন সব জ্ঞান-তাল।
হেনকাল পরে,
বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড়ালাম ডরে,
তল্লাশিলাম নিরজনে আপনারে।
পাইনি কোন সন্ধানে,
কী জানি কী আছে মনে,
সুন্দর ভাবের দোলা কেবলি লাগে নিরস প্রাণে।
তমঃ হলে নিদ্রাকালে,
ভাবিলাম শয়নে কী আছে নিজ ভালে,
তন্দ্রার অতন্দ্র প্রহরায় দু’পুতলি না টলে।
ফুটেছে যবে প্রভাত আলোর আভা,
চক্ষুস পর্দায় নির্ঘুম রাত্রের হেতু নিয়েই ভাবা,
নির্বাক মনের কষ্ট বয়েই কাটে সারাবেলা।
একলা আমি একলা হাসি নিরজনে,
লোকে কি বলবে বোকা! ভাবছি মনে মনে,
যে যাই বলুক, কী আসে যায়! মানছি পরক্ষণে।
সে কী এক মর্ম জ্বালা ক্ষণে ক্ষণে,
খাবার খেতেই যাচ্ছি ভুলে, কী ঘটেছে? কেমনে?
নিজকে হারিয়ে পাচ্ছি কভু কল্পলোকের সনে।
বনের ভিতর লাগলে আগুন,
সব পুড়ে হায়! তবু স্বপ্নলোক থাকে জাগুন,
পত্রঝরা বৃক্ষেও কভু জাগে ফাগুন।
ধরার মাঝে সে অশরীরী জন,
বিচিত্র রূপে, বিচিত্র রসে করে আগমন,
সর্ব জনই উন্মাদ বেশে কামনা কাতর তার আলিঙ্গন।
সে বহুরূপী জন কখন আসে? কখন যায়?
ইচ্ছে হলেই হাসায় সে, ইচ্ছে হলেই কাঁদায়,
আপন সুখে ইচ্ছে হলেই বিরহের দহনে পুড়ায়।
ডাকবো কী নামে এমন অপরিচিত জনকে,
জিজ্ঞাসিলে ছোট্ট খুকি বলল শেষে মুচকি হেসে,
ভুবন মাঝে এমন অনুভূতিকেই ‘প্রেম’ নামে ডাকে।