কাজিরবাজার ডেস্ক :
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় কমে গেছে রেমিটেন্স আয়। বিশ^মন্দার আশঙ্কার মধ্যেই হোঁচট লেগেছে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধিতে। এদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়াতে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার ফলে কমে যাচ্ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত কয়েক মাসে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার কমে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। ডলার সাশ্রয়ে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি বিদেশী উৎস থেকেও অর্থ সংস্থানের চেষ্টা করছে সরকার।
এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে বাংলাদেশ সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ চায় আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা আইএমএফের কাছ থেকে। ঋণ নিয়ে আলোচনার জন্য ১৪ দিনের সফরে আজ বুধবার ঢাকায় আসছে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করার কথা রয়েছে সংস্থাটির। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইএমএফের এ ঋণ কতটা ভূমিকা রাখতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান সংকট টাকা দিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়, পলিসি দিয়ে সমাধান করতে হবে। আর আইএমএফের শর্ত পরিপালনের মাধ্যমেই তা সম্ভব। এছাড়া, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং জাইকার সঙ্গেও বাংলাদেশ সরকারের ঋণ সহায়তা পাওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আইএমএফের ঋণ পেলে এসব সংস্থার ঋণ পাওয়ার পথ সুগম হবে।
বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ঋণ সুবিধা দিতে আইএমএফের একটি মিশন আজ বুধবার রাতে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। তারা আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। এর মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-সহ বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে।
এসব বৈঠকে ঋণ পাওয়ার জন্য আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা হবে। এবারের মিশনেও নেতৃত্ব দেবেন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দ। মিশনটি এর আগে গত জুলাইয়ে ঢাকায় এসেছিল। ২২ জুলাই তারা বাংলাদেশ মিশন সম্পন্ন করে ঢাকা ত্যাগ করেন। এবারের মিশনের বৈঠক শুরু হবে বৃহস্পতিবার থেকে। ওইদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হবে। প্রতিদিন তারা একাধিক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রতিদিন বিকেলেই বৈঠকে বসবে। এর আগে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের গ্রহণযোগ্য হিসাব পদ্ধতি প্রণয়নের বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)। মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, সুদের হারে আরোপিত সীমা প্রত্যাহার, মন্দ ঋণ কমানো এবং সম্ভাব্য খেলাপি ঋণ ঠেকাতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তাও তারা জানতে চেয়েছে।
এছাড়া রাজস্ব খাতে সংস্কার, কর জিডিপি অনুপাত বাড়ানো, ভর্তুকি কমানো এবং দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থার বিভিন্ন সূচকের হালনাগাদ চিত্র সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে। আইএমএফের প্রশ্নগুলোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের পর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করছে। প্রতিবেদনটি তারা আইএমএফের মিশনকে দেবে। একই সঙ্গে এটি অর্থ মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হবে। আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকের সময় এসব তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আলোচনা হবে।
এই সফরে আইএমএফের এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি বা এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির আওতায় ঋণ চুক্তিতে পৌঁছানো নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সেইসঙ্গে আইএমএফের নতুন উদ্যোগ রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় বাংলাদেশ ঋণসহায়তা পাবে কিনা, সে বিষয়েও আলোচনা হবে। আইএমএফ বলছে, বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে এই ঝুঁকি মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদে ঋণসহায়তা দেওয়ার জন্য আরএসএফ গঠন করেছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আইএমএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রস্তাবিত ঋণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, চলতি অর্থবছরেই প্রাথমিকভাবে দেড় বিলিয়ন ডলার পেতে আলোচনা হয়েছে। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় এবার তিনি অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। সাইডলাইনে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন গভর্নর।
সেখানে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটির কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা নিয়ে কথা বলেন। সব মিলিয়ে দুই সংস্থার কাছে সাড়ে ৫০০ কোটি ডলার ঋণের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এর বাইরে জাপানের কাছ থেকেও বাজেট সহায়তার আওতায় ঋণ পেতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সঙ্কট মোকাবিলায় আইএমএফের ঋণ কতটা কার্যকর হবে জানতে চাইলে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শুধু ঋণের টাকা হিসেব করে দেখলে তা কম হবে। তবে এর সঙ্গে যে সমস্ত সংস্কার প্রস্তাব আসবে সেগুলোই মূল বিষয়। সরকার যদি এসব সংস্কার প্রস্তাব কার্যকর করতে পারে তবে ভবিষ্যতে সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।
এ গবেষক বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর গত সাড়ে তিন মাসে অর্থনীতির অবস্থা অনেক নাজুক হয়েছে। আগামীতে আরও দুর্বল হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে বাজেটের বিভিন্ন প্রাক্কলন অনেক ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকতার জন্য অর্থটা গুরুত্বপূর্ণ। আর টেকসই হওয়ার জন্য আইএমএফ যে সব সংস্কারের প্রস্তাব দিচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ।
এখন এ সকল সংস্কার সরকার প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় করতে পারবে কিনা সেটা ভিন্ন বিষয়। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেছেন, আইএমএফের এ বিষয়গুলোকে শর্ত বলা ঠিক হবে না। পরামর্শ তো রাখতেই পারে। তারা এটা বলবে এ কারণে যে, আয়ের তুলনায় আমাদের রাজস্ব কম। ভবিষ্যতে আমদানির ক্ষেত্রে যাতে বাধা না হয়, সেজন্য এ তহবিল আমাদের প্রয়োজন।
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে সরকার আইএমএফের ঋণ পেতে বড় একটি শর্ত বাস্তবায়ন করেছে। সেটি হচ্ছে-জ্বালানি তেল ও সারের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কিছুটা কমিয়েছে। এর বাইরে অন্য যেসব শর্ত রয়েছে, সেগুলোর একটি অংশও বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার আংশিকভাবে হলেও বাজারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। আইএমএফ চাচ্ছে এটি পুরোপুরিভাবে বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে।
এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভিন্নমত রয়েছে। তারা বলেছে, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ যেভাবে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশও তাই করছে। একেবারে বাজারের হাতে তা ছেড়ে দিলে বাজার অস্থির হয়ে যাবে। ডলারের সরবরাহ বাড়লে দাম বেশি কমে যাবে। আবার ডলারের সরবরাহ কমে গেলে দাম বেশি বেড়ে যাবে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে বাজার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কিনে বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখছে।
বিনিময় হারের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুই ধরনের দর নির্ধারণ করে। একটি সাধারণ বা নমিনাল বিনিময় হার। এটি হচ্ছে বর্তমান বাজার দর। অন্যটি হচ্ছে রিয়েল বা প্রকৃত বিনিময় হার। এটি মুদ্রার মান সম্পর্কে ধারণা পেতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য আছে-এমন সব দেশের মুদ্রার মান, মূল্যস্ফীতি, জিডিপির প্রবৃদ্ধি এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়। নমিনাল বিনিময় হারে বর্তমানে ডলারের দরও বিভিন্ন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিক্রি করছে ৯৭ টাকা দরে। রপ্তানি বিল কেনা হচ্ছে ৯৯ টাকা দরে। রেমিটেন্স কেনা হচ্ছে ১০৭ টাকা দরে। ফলে ডলারের কোনো একক দর নেই। আইএমএফ এ খাতে সমন্বয় আনার কথা বলেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে ক্রমেই বাজারভিত্তিক দরের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যে কারণে এখন বিনিময় হারে কিছুটা হেরফের হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তা ঠিক হয়ে যাবে। প্রকৃত বিনিময় হার এখন ১১৫ টাকার বেশি।
আইএমএফ বাজার ও প্রকৃত বিনিময় হারের মধ্যে সমন্বয় করার কথা বলেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এ বিষয়ে ব্যবধান অনেক কমে এসেছে। আগামী দিনে আরও কমে যাবে।
আইএমএফের ঋণ সঙ্কট মোকাবিলা প্রসঙ্গে আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, মন্দা ঠেকাতে আমাদের দেশকে ঠিক করতে হবে।
তিনি বলেন, ঋণ পাওয়ার বিষয়ে সরকার যেভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং আইএমএফের দেয়া শর্ত যদি মেনে নেয়, তাহলে আগামী বছরের শুরুতেই ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া সম্ভব। তবে সরকার যদি শর্ত পরিপালনে বেশি আন্তরিকতা দেখায়, তাহলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ অর্থাৎ ডিসেম্বরেও প্রথম কিস্তি পাওয়ার সুযোগ আছে। তিনি বলেন, পৃথিবীজুড়েই সব উন্নয়নশীল দেশ দুটো সমস্যায় পড়েছে- ব্যালেন্স অব পেমেন্টে বড় ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং এক্সচেঞ্জ রেট আয়ত্তে রাখতে না পারায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। এসব ঘাটতি সামলাতে গিয়ে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। কাজেই এই জায়গায় এখন কাজ করতেই হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের সমস্যা বাণিজ্য ঘাটতি, এক্সচেঞ্জ রেট ঠিক নেই, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে আমরা যুদ্ধ করতে পারছি না। রাজস্বের বিশাল ঘাটতি, অপর্যাপ্ত রাজস্ব। এ অর্থনীতি বিশ্লেষক বলেন, বর্তমানে প্রতিমাসে রিজার্ভ থেকে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাজারে ছাড়তে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংককে।
এ অবস্থায় আইএমএফের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পাওয়া গেলে তা শেষ হতে মাত্র তিন মাস সময় লাগবে। অর্থাৎ বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে ঋণ দিলে তা যে ফেরত পাওয়া যাবে না, সেটি আইএমএফও জানে। তাই সংস্থাটি বাংলাদেশের ম্যাক্রো ইকোনমি স্থিতিশীলতায় স্বাভাবিকভাবেই বেশকিছু শর্ত দেবে। রাজস্ব আয় বাড়াতে মধ্যমেয়াদি শর্তারোপ করবে আইএমএফ। এজন্য রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।
এছাড়া, ব্যাংক ঋণের সুদহারের ওপর আরোপিত ক্যাপ প্রত্যাহার করার শর্তারোপ করবে সংস্থাটি। পাশাপাশি, মনিটারি পলিসি চালু করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বলবে সংস্থাটি।
ড. মনসুর বলেন, আইএমএফের অন্যতম শর্ত হবে ‘মার্কেট-ডিটারমাইন্ড এক্সচেঞ্জ রেট’ (বাজার নির্ধারিত বিনিময় হার) নিশ্চিত করা। বর্তমানে আমাদের দেশে চারটি এক্সচেঞ্জ রেট রয়েছে- একটি সরকারের জন্য, একটি আমদানিকারকদের জন্য, একটি রপ্তানিকারকদের জন্য এবং একটি রেমিটেন্সের জন্য।
আইএমএফের শর্ত থাকবে, আগের মতো একটি এক্সচেঞ্জ রেট নিশ্চিত করা এবং কার্ব মার্কেটের রেটের সঙ্গে এক্সচেঞ্জ রেটের ব্যবধান কমিয়ে আনা। এমনকি, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করার শর্ত এই মুহূর্তে আরোপ না করলেও এসব খাতে যেন নতুন করে ভর্তুকি বাড়ানো না হয়, আইএমএফ সেই শর্ত দেবে বলেও জানান তিনি।