বন্যপ্রাণীর বিচরণে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত সড়কপথ অন্যত্র সরিয়ে নেয়া উচিত – উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান

21
কমলগঞ্জের লাউয়াছড়ায় ইকোলজি এন্ড কনজারভেশন অব হুল্লুক গিবন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার হীড বাংলাদেশ কনফারেন্স রুমে ‘ইকোলজি এন্ড কনজারভেশন অব হুল্লুক গিবন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম এর সভাপতিত্বে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. হাবিবুন নাহার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া, বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু মুছা শামসুল মোহিত চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে হুল্লুক গবেষণা ও প্রকল্প বিষয়ে সচিত্র উপস্থাপনা করেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্প উপ-পরিচালক ড. সাবির বিন মুজাফ্ফর। কর্মশালা উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে অধ্যাপক ড. হাবিবুন নাহার এর নেতৃত্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ সদস্যের একটি দল লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় হুল্লুকের উপর গবেষণা পরিচালনা করবে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকসহ বন্যপ্রাণীর বিচরণে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত সড়কপথ অন্যত্র সরিয়ে নেয়া উচিত। তাছাড়া প্রাচীন আমল থেকে সিলেট-আখাউড়া সড়কে প্রবাহিত রেলপথের লাউয়াছড়া উদ্যানের ভেতরের রেলপথকে আন্ডারপাস ও ঘন বনাঞ্চল এলাকার রেলপথকে স্থানান্তর করা যেতে পারে।
ড. সাবির বিন মুজাফ্ফর গবেষণা বিষয়ে উপস্থাপনায় বলেন, বন ফাঁকা হলে বন্যপ্রাণি খাবার ও আবাসস্থল সংকটে ছড়িয়ে পড়ে। ২০০১ সনে হুল্লুক নিয়ে গবেষণা বিষয়ে কাজ শুরু করার পর ২৮২টির সন্ধান পাওয়া যায়। অথচ ১৯৮০ সনে ধরা হতো ১ লাখ ৭০ হাজার ও ২০১০ সালে নেমে আসে ৩ থেকে ৫ হাজারে।