স্টাফ রিপোর্টার :
সুনামগঞ্জের ছাতকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে শিশু জুবেল আহমদকে শ্বাসরোধে হত্যা ও লাশ গুমের দায়েরকৃত মামলায় এক জনকে ফাঁসি (মৃত্যুদন্ড) ও অপর ২ আসামীকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: রেজাউল করিম চাঞ্চল্যকর এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী সেলিম মিয়া (৩০) সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামের মরতাব আলীর পুত্র। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলো না।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি এডভোকেট কিশোর কুমার কর জানান, ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর পীরপুর গ্রামের যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলীর ১১ বছর বয়সী ছেলে জুবেল আহমদ মোবাইল ফোন কেনার জন্য একই গ্রামের সেলিম মিয়াকে ২ হাজার টাকা দেয়। টাকা নিয়ে মোবাইল ফোন না দিয়ে জুবেলকে তাড়িয়ে দেয় সেলিম। পরে জুবেলের মা সেলিমকে বকাঝকা করলে সে মোবাইল ফোন সেট দেয়। তিনি জানান, এ ঘটনার দুইদিন পর ২৬ নভেম্বর পীরপুর বাজারে সেলিমের দোকানে যায় জুবেল। এরপর থেকে জুবেল নিখোঁজ হয়। ২৮ নভেম্বর স্থানীয় একটি পুকুর থেকে জুবেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জুবেলের ভাই রুহেল আহমদ বাদি হয়ে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সেলিম মিয়া ছাড়াও একই এলাকার আবুল কালাম ও এখলাছুর রহমানকেও আসামী করা হয়। ২০১৩ সালের ২ ফেব্র“য়ারী পুলিশ ওই ৩ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) প্রদান করে। পরে সুনামগঞ্জ আদালত থেকে চাঞ্চল্যকর মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ২০১৫ সালের ২৮ মে আদালত চার্জগঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। মামলার ২২ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করা হয়। মামলার রায়ে আবুল কালাম ও এখলাছুর রহমানকে বেকসুর খালাস এবং সেলিম মিয়ার ফাঁসি ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালতের বিচারক।