জেড এম শামসুল :
হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.) সহ ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি আধ্যত্মিক রাজধানী হিসাবে খ্যাত সিলেট যতদিন যাচ্চে ততই সমস্যার পাহাড়ে রূপ নিচ্ছে। প্রাচীনতম এ শহরটির জনমানুষের ভীড় বাড়লেও জননিরাপাত্তার সুযোগ সুবিধা বাড়েনি। লেগে রয়েছে চুরি ডাকাতি রাহাজানি ছিনতাই ভূমি দখলসহ নানা সমস্যা।
বর্তমান সরকারের সময়ে কিছুটা কমলেও নগরীর সড়ক সমূহে চলাচলকারী যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে শহর ও শহরতলিতে সিএনজি অটোরিক্সার দাপটে পথচারীদের নাভিশ্বাস। সিএনজি অটোরিক্সার দৌরাত্ম্য থেকে নগরবাসী রেহাই চান। ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালীন সময়ে মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও দ্রুতগতিতে চলাচলকারী সিএন জি অটোরিক্সাও গতি নিয়ন্ত্রণে আনার কোন পদক্ষেপ দৃষ্টিগোচর হয়নি।
শহর ও শহরতলিতে হাজারো সিএনজি অটোরিক্সার গতি নিয়ন্ত্রণে কোন নীতিমালা প্রয়োগ না থাকায় এসব অটোরিক্সা যে যেমন ইচ্ছা তেমন রাজার হালে চলছে। নগরীতে চলাচলকারী অটোরিক্সার চালকরা বেশীর ভাগই অশিক্ষিত অদক্ষ অল্পবয়সী। এদের সাথে অহরহ পথচারীদের ঝগড়া বিবাদ লেগেই রয়েছে।
শহরের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন পয়েন্ট, মধুবন মার্কেটের সামনা পুরো বন্দর বাজার পয়েন্ট, জিন্দাবাজার পয়েন্ট, সুরমা মার্কেট পয়েন্ট, এমন কি বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যে অবস্থা কোন বিবেকবান মানুষ মেনে নিবে না। এ সব পয়েন্টগুলোর অবস্তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রহেছে। এ সব পয়েন্টে অটোরিক্সার চালকরা ট্রাফিক আইনকে অমান্য করে সড়কের মধ্যেই ঘুরপাক দেয়। এ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে যাত্রী উঠানো নামানো তাদের কাছে কোন বাধা নয়। পথচারীরা বাধা দিলে চালকরা মারমুখী হয়ে উঠে দেখা দেয় বিশৃংখলা।
নগরীতে যানবাহনের অবৈধ ও নকল কাগজধারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেয়া জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করেন।