কাজিরবাজার ডেস্ক :
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে সময় চেয়েছেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কামারুজ্জামান। সে অনুযায়ী তাকে সময় দেওয়া হয়েছে। তবে সে সময় কতটুকু তা জানা যায়নি।
ঠিক কখন এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হচ্ছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দুজনই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন বৃহস্পতিবারের মধ্যেই প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্তের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে রাত সাড়ে ১১টা ছয়টা পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে কারাগার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তবে আইনি প্রক্রিয়ায় কামারুজ্জামান ফাঁসি কার্যকর হওয়ার আগে যতটুকু সময় ও সুযোগ পেতে পারেন তার সবটাই পাবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা তার সঙ্গে দেখা করে বের হয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে তার প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তিনি কিছুটা সময় চেয়েছেন
এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদন করলে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। আর তা করতে হবে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই। অন্যথায় রায় দ্রুত কার্যকর করবে সরকার।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কামারুজ্জমানের কথার জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি প্রাণভিক্ষা না চাইলে আইন অনুযায়ী কাজ করবো। আমরা আবারও তাকে (কামারুজ্জমান) জিজ্ঞাসা করবো। প্রাণভিক্ষা না চাইলে জেল কোড অনুযায়ী কাজ করবো। আপনারা নিশ্চিত থাকেন যথাযথভাবেই এ প্রক্রিয়া শেষ হবে। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট তার কাছে যাচ্ছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কণ্ঠেও ছিলো একই ধরনের কথা। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, যথাদ্রুত সম্ভব এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যেই প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
যৌক্তিক সময় মানে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে যতোটুকু সময় লাগে সেটিকেই বোঝায়। তার মতে, যৌক্তিক সময় মানে সাতদিন নয়।
কারাবিধিতে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সময়সীমা সাতদিন হলেও এক্ষেত্রে কারাবিধি প্রযোজ্য নয়, বলেও সাংবাদিকদের জানান এটর্নি জেনারেল।