ওসমানীনগরে মারামারি মামলার আসামী গ্রেফতার, জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা স্বজনদের

12

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে মারামারি মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মারুফ মিয়া (২৮) উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র। রবিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে ওসমানীনগর থানার এসআই নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলার কাদিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ থাকে আটক করে বলে জানা গেছে। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ও একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মারুফকে গ্রেফতারের অভিযান কালে আসামী পক্ষের লোকজন কর্তৃক পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে একাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় সোমবার থানায় দায়েরকৃত মারামারি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মারুফকে আদালতে প্রেরন করা হলেও অভিযানকালে হামলার অভিযোগের বিষয়ে থানা পুলিশ এখনও কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে জানা গেছে।
জানা যায়,গত ৩১ জুলাই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার কাদিপুর গ্রামের প্রবাসী আব্দুল ওয়াহিদ গংদের সাথে একই গ্রামের সুফি মিয়া গংদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করে। মামলায় আব্দুল ওয়াহিদের পক্ষের ৮ জন আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে আসলেও সুফি মিয়ার পক্ষের অভিযুক্তরা সবাই পলাতক রয়েছেন। রবিবার দিবাগত রাত ৮টায় আব্দুল ওয়াহিদের পক্ষে দায়েরকৃত মামলার এজহারভুক্ত আসামী মারুফ আহমদকে গ্রেফতারের জন্য কাদিপুর গ্রামে অভিযানে যায় থানা পুলিশ। এ সময় মারুফের বাড়ির সামন থেকে তাকে গ্রেফতারের জন্য ধাওয়া করলে সুফি মিয়ার পক্ষের লোকজন পুলিশের হাত থেকে মারুফকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ মারুফকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় সুফি মিয়ার পক্ষের লোকজন কর্তৃক অভিযানে থাকা একাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ওসমানীনগর থানার এসআই নাজমুল ইসলাম বলেন,মারামারি মামলার এজহারভুক্ত আসামী মারুফকে গ্রেফতারের সময় আসামী পক্ষের লোকজন কর্তৃক ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় মারুফকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।