উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে ড. মোমেন ॥ হাতে হাত রেখে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার

147
নগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে মোনাজাত করছেন পররাষ্ট্র ড. এ কে আবদুল মোমেন সহ অন্যান্যরা।

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর উন্নয়নে হাতে হাত ধরে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়েছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর ঘাসিটুলায় উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে নগর উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, আমরা যদি সকলে একসাথে হাতধরে কাজ করি, তাহলে কোন কিছুই আমাদের দমাতে পারবে না।

নগরীতে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

এ সময় তিনি মঞ্চে উপস্থিত সকলকে হাতে হাত রেখে অঙ্গীকার করার অনুরোধ করেন। মঞ্চে উপস্থিত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, তারেক আহমদ তাজ, তৌফিকুল হাদী, আব্দুল মুহিত জাবেদ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মাসুদা সুলতানা, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জালাল উদ্দিন প্রমুখসহ সকলে হাত উচিয়ে তখন মন্ত্রীকে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়ে শেষ হতে অনেক দেরি হয়। যে কারণে উন্নয়ন যে হারে হওয়া দরকার তা হয় না। সিলেট নগরীর ছোটবড় সব উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত শেষ করা দরকার। এজন্য সব দলমতের উর্ধ্বে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্থানীয় প্রতিনিধিদের এ বিষয়ে তদারকি করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। আমি তাঁর অধীনে কাজ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন-এ উন্নীত করা, সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ বড় বড় প্রকল্প যথাসময়ে শেষ করতে তাঁর সদিচ্ছার কথা উল্লেখ করে বলেন, এ কাজগুলো হয়ে গেলে সিলেটের উন্নয়নের পথ প্রসারিত হবে। মানুষকে সহজ সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
নির্বাচনের পর সিলেট নগরীর নতুন ১৪টি প্রাইমারি স্কুল ও ৩টি মাদরাসার অনুমোদন চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৮টি স্কুলের অনুমোদন ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। যেখানে স্কুল প্রয়োজন আমি তা করে দেবো। আপনারা কেবল জায়গার ব্যবস্থা করবেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১০নং ওয়ার্ডের ‘এমজিএসপি’ প্রকল্পের আওতায় ঘাসিটুল-লামাপাড়া-মোল্লাপাড়া হয়ে সুরমা নদী পর্যন্ত আরসিসি

ড্রেন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে ও পরে মন্ত্রী নগরীর ৮নং ওয়ার্ডে গোয়ালিছড়া, কালীবাড়ী ছড়া, ১নং ওয়ার্ডে মালনীছড়া, মিরের ময়দান, ২নং ওয়ার্ডে রিকাবীবাজার ৪নং ওয়ার্ডের দর্শনদেউড়ি ও দরগাহ মেইন রোড, ১৪নং ওয়ার্ডে চালিবন্দর ও ২০ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে সিলেট মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি জাবেদ সিরাজ, আবুল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।