সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জমজমাট লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন ভোটার। সাবেক মহিলা চেয়ারম্যান এবং অ্যাডভোকেট রিপা সিনহা এ লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এবারই দিরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন উচ্চ শিক্ষিত মহিলা প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা যায়।
দিরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত হেলেনা বেগম খেলা, দিরাই উপজেলো বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিক ও দুই বারের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট রিপা সিনহা। এ তিন প্রার্থীর মধ্যে রিপা সিনহা এক জন উচ্চ শিক্ষিত মহিলা হওয়ায় ভোটের পাল্লা তার ভারি রয়েছে। রিপা সিনহা (বিএসবসে অনার্স), এমএসএস (সমাজ বিজ্ঞান), এলএলবি, এলএলএম শেষ করে এখন সিলেট ও সুনামগঞ্জ বারে একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। রিপা সিনহা দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের ডা: স্বাধীন কুমার দাসের স্ত্রী। স্বাধীন কুমার ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়াকালীন সময়ে ভিপি পদে নির্বাচন করেন। রিপা সিনহাও ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত।
তিন জন প্রার্থীকে নিয়ে এখন ভোটাররা বিচার বিশ্লেষণ করছেন। সর্ব শেষ কার প্রতীকে তারা ভোট দেবেন। ছবি চৌধুরী দুই বার উপজেলা চেয়ারম্যান থাকায় তার পক্ষে যেমনি জনমত রয়েছে বিপক্ষেও রয়েছে। দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান একটি মামলায় ফেরারী থাকাকালীন সময়ে ছবি চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় উন্নয়ন পরিকল্পনায় তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন মসজিদে সৌর বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য সে সব এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাউকে দিয়েছেন কাউকে দেননি। যে সব মসজিদে তিনি কথা দিয়ে সৌর বিদ্যুৎ দেননি সেসব এলাকায় মানুষ তাকে ভোট দিবে কি না এ নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে।
এ ব্যাপারে ছবি চৌধুরী জানান, দুই মেয়াদে মানুষের সেবা করেছি। আশা করি এবছর মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে। আমি যে এলাকায় যাচ্ছি মানুষ আমাকে সমীহ করছেন।
হেলেনা বেগম খেলা দিরাই পৌর সদরের একটি গ্রামের বাসিন্ধা হওয়ায় তারও ভোট ব্যাংক রয়েছে। তিনি সে ভোট এবং দলীয় ভোটের আশায় উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন।
রিপা সিনহা নির্বাচনের তিন মাস আগ থেকেই দিরাই উপজেলা সদরে বসবাস করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। নিজ গ্রাম মধুপুরে ফ্রি সিকিৎসা ক্যাম্প সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তিনি বলেন, দিরাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আমি যাচ্ছি। মানুষ আমাকে উৎসাহিত করছেন। আশা করি ১০ মার্চ ফুটবল প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে দিরাই উপজেলা বাসী তাদের সেব করার সুযোগ দেবেন।