এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, সাংবাদিকদের উপর হামলা

68
এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের দৃশ্য। ছবি- রেজা রুবল

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে ছাত্রলীগের ২ গ্র“পের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার ক্যাম্পাসে বসন্ত উৎসব চলাকালে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে ২ পক্ষ। এসময় কর্তব্যরত সাংবাদিকদের মারধর করে ছাত্রলীগ।
জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টা থেকে এমসি কলেজে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে কলেজের সাংস্কৃতিক সংগঠন মোহনা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই অনুষ্ঠানস্থলে বসা নিয়ে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক স্কুল বিষয়ক সম্পাদক হোসাইন আহমদ ও জেলা কমিটির সাবেক সদস্য নাজমুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এদের মধ্যে হোসাইন এমসি কলেজ ও নাজমুল সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল নেতা। সংঘর্ষকালে এই দু’জনের পক্ষে নিজ নিজ কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অংশ নেয়। এতে পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় বসন্তবরণের অনুষ্ঠান। সংঘর্ষ থামার পর আয়োজকরা পুণরায় অনুষ্ঠান শুরু করতে চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তা করতে দেয়নি।
এদিকে সংঘর্ষের সময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তাদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। হামলা আহত হন- দৈনিক সমকালের আলোকচিত্রী ইউসুফ আলী, দৈনিক ভোরের কাগজের আলোকচিত্রী অসমিত অভি, দৈনিক শুভ প্রতিদিনের আলোকচিত্রী মিঠু দাস জয় ও সিলটিভি ডটকমের ক্যামেরাপার্সন কাউসার আহমদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাজমুল অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী রুহেল আহমদ, ইমতিয়াজ ও শাহীনের নেতৃত্বে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানো হয়।
হামলায় আহত দৈনিক ভোরের কাগজের আলোকচিত্রী অসমিত অভি বলেন, এমসি কলেজে মোহনা বসন্ত উৎসবস্থলে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের ২ গ্র“পে সংঘর্ষ বাঁধে। তাদের সংঘর্ষের ছবি তুলতে গেলে আমাদের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের কর্মীরা।
অপর আহত দৈনিক সমকালের ফটো সাংবাদিক ইউসুফ আলী বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীরা উপস্থিত সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে। হামলার সময় আমার হাতে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সকলের উপস্থিতে পরে তা আর ছিনিয়ে নিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন আহমদ ও নাজমুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে শাহপরান (র:) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এমসি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক সালেহ আহমদ বলেন, সংঘর্ষ ও সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।