ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার এবং তাদের কাছ থেকে ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত স্বর্ণ ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্র ও শনিবার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করার বিষয়টি রিশ্চিত করেছে ওসমানীনগর থানার পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন জগন্নাথপুর উপজেলার পূর্ব তিলক গ্রামের আবদুল কাইয়ুম (২৪), চক তিঁলক গ্রামের জুয়েল মিয়া (৪৫), বালাগঞ্জ উপজেলার আহমদপুর গ্রামের রাজু আহমদ (১৯), একই উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের হাজারি শিপন (২৮) ওসমানীনগরের রবিদাস সোনারপাড়া গ্রামের সাব্বির আহমদ (২৪), কানাইঘাট উপজেলার জয়পুর গ্রামের ছয়ফুল আলম (৪০), এবং মৌলভীবাজার সাইফুর রহমানের রোডস্থ এনআরবি জুয়েলার্সের সত্যজিৎ দাস ও নাসির খান। গ্রেফতারকৃদের কাছ থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং একটি অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে জগন্নাথপুর ও ওসমানীনগ থানায় অস্ত্র আইনে পৃথক দৃটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শনিবার গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৪ জনকে আদালতের প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য ৪জনকে আজ রবিবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম-আল মামুন জানান, ডাকাতির ঘটনার পর তথ্য নিয়ে রাজু ও জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যমতে জগন্নাথপুর ও মৌলভীবাজার থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে পেশাদার ডাকাতদের গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতির সাথে জড়িত আরো কয়েক জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে এবং দ্রুত তাদের গ্রেফতারের জন্য জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। মৌলভীবাজারের একটি জুয়েলারী দোকান থেকে লুণ্ঠিত ৫৫.২৫ গ্রাম স্বর্ণ ও স্বর্ণ বিক্রির ১লাখ ৫ হাজার ৭শ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে যুবলীগ সভাপতি আনা মিয়ার বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। এ সময় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে আনা মিয়া গুলিবিদ্ধ হন এবং ডাকাতদের হামলায় তার পরিবারের সদস্যরা আহত হন। এঘটনায় আনা মিয়া বাদি হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।