সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পল্লীতে রুমা আক্তার (২২) নামে এক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। রুমা আক্তার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মাঠগাঁও গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হকের মেয়ে।
এ ঘটনায় ওই তরুনীর পিতা থানায় মামলা দায়েরের পর দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করেছে। গত শুক্রবার বিকেলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীরকে সুনামগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ীতে তরুণী রুমা আক্তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীরের সাথে নিহত তরুণী রুমার দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। প্রেমিক জুটিকে সম্প্রতি সিলেটের একটি হোটেল থেকে আটকও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ। রুমার মৃত্যুর জন্য তার পরিবার পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে দায়ী করেছে। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম একই উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র ও সিলেট মেট্রাপলিটন পুলিশে কর্মরত পুলিশ সদস্য।
নিহত তরুণীর পিতা সিরাজুল হক গত বুধবার অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমসহ ৬জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়েরের পর গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমেকে আটক করে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।
পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের দাবী, রুমা আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের লোকজনকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি এনামুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর ১নং আসামী পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। (খবর সংবাদদাতার)