ভেজাল ও নিম্ন মানের মসলায় সয়লাব তাহিরপুরের হাট বাজার

1

বাবরুল হাসান বাবলু, তাহিরপুর
ভেজাল ও নিম্ন মানের মসলায় সয়লাব তাহিরপুর উপজেলার সবক’টি হাট বাজার।
আর ভেজাল মসলা উপজেলার সর্বত্র হাট বাজারে ছড়িয়ে দেয়ার কাজে সরাসরি যুক্ত রয়েছে বাদাঘাট কাচা বাজার সংলগ্ন ৫/৬ টি মসলা মিল মালিকরা। ইট, অটো রাইস মিলের কুড়া ও কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে তৈরী হচ্ছে এ ভেজাল মসলা।
অধিক মুনাফা লাভের আশায় এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে গোপনে মসলাতে ভেজাল মেশানোর কাজটি করে থাকলেও সম্প্রতি মো. আহাদ উল্লাহ নামে বাদাঘাট বাজারের এক ব্যক্তি আব্দুল হান্নান এর মসলা মিলে ভেজাল মেশানোর একটি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
সেখানে তিনি লিখেন বাদাঘাট বাজার মসলা বানানোর কারখানা। কাঠের গুড়া, অটোর কুড়া, লাল রঙের ক্যামিক্যাল, আর অল্প কিছু মরিচ সব একসাথে মিশিয়ে এগুলিকে মেলিং করে বাজারজাত করা হচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ এগুলি বাজার থেকে কিনে খাচ্ছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এর পর পরই এ ভেজাল পন্য নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ দেখা দেয় বাদাঘাট বাজার সহ উপজেলার সর্বত্র হাটবাজারের ক্রেতা সাধারণদের মধ্যে।
তাহিরপুর সদর উজান তাহিরপুর গ্রামের সাইদুল কিবরিয়া তিনি জানান, তিনি বাদাঘাট বাজারের মিল থেকে প্রায়ই মসলা ভাঙ্গিয়ে থাকেন। কিন্তু এ মিল গুলোতে এভাবে ভেজাল মিশিয়ে মসলা সরবরাহ করা হয় তা তিনি আগে জানতেন না।
এ বিষয়ে মসলা মিল মালিক আব্দুল হান্নান এর সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
তবে বাদাঘাট বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি সেলিম হায়দার জানান, মসলাতে ভেজাল মেশানোর ভিডিওটি সঠিক। যার মিলে মেশানো হয়েছে সে স্বীকার করেছে তার মিলেই এ ভেজালের কাজটি করা হয়েছে। তাছাড়া তিনি আরও জানান তিনি গত দু’দিন ধরে নিয়মিত মসলা মিলে যাচ্ছেন, মিল মালিকরা তাকে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন ভবিষ্যতে তারা আর এমন কাজ করবে না।
তাহিরপুর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মকবুল হোসেন বলেন, বাদাঘাট বাজারের মসলা মিলগুলো ভেজাল মসলা তৈরী করছে অনেকেই তার নিকট অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তিনি সরজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।