কে.এম.লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
গোয়াইনঘাটে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র দেলোয়ার হোসেন সাহেল হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার আবারাবুলই হত্যাকান্ডের মূল নায়ক। গ্রেফতারকৃত আবারাবুল উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ফেনাইকুনা গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, প্রেমিকা খাদিজাকে নিয়ে কিছুদিন পূর্বে জাফলং চা বাগানে অপ্রীতিকর অবস্থায় আটক হওয়ার ঘটনায় পরিবার থেকে নিগৃহিত হওয়ার কারণেই চাচার প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটায় গ্রেফতারকৃত আবারাবুল।
এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় দায়েরকৃত মামলার (নং ০৯(০২)১৯) সূত্র ধরে পুলিশ আবারাবুলকে আটক করে। আটকের পর প্রথমে থানায় জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে এবং পরে শুক্রবার সিলেটের আমলগ্রহণকারী আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের সামনে দন্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করে সে।
স্কুল ছাত্র শিশু সাহেল হত্যা ও চাঞ্চল্যকর এ খুনের রহস্য উদঘাটনে থানার ওসি (তদন্ত) হিল্লোল রায় নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার আটক করে থানা নিয়ে আসেন নিহত সাহেলের চাচতো চাচাতো ভাই আবারাবুলকে। থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে অকোপটে আবারাবুল স্বাীকার করে কিভাবে শিশু সাহেলকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, হত্যাকান্ডের কারণ, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, রক্তমাখা শার্টও (আলামত) উদ্ধার করা হয় ঘাতক আবারাবুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে।
এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ওসি (তদন্ত) হিল্লোল রায় বলেন, অবশেষে গোয়াইনঘাটের চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্র দেলোয়ার হোসেন সাহেল হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে আবারাবুলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে অবশেষে সে স্বীকার করে কিভাবে নিরপরাধ শিশু সাহেলকে জবাই করে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়। ধৃত আবারাবুলের দেয়া তথ্যে এই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, হ ত্যাকান্ডের সময় রক্তে ভিজে যাওয়া শার্টসহ সকল আলামতও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্রথমে থানা ও শুকবার আবারাবুল সিলেটের বিজ্ঞ আদালতের বিচারকের কাছেও দন্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। উল্যেখ্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নিখোঁজ থাকার ৬ ঘন্টা পর স্কুল ছাত্র দেলোয়ার হোসেন সাহেলের গলাকাটা লাশ স্থানীয় কবর স্থানের পাশ থেকে উদ্ধার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।