স্টাফ রিপোর্টার :
কানাইঘাটের এক ব্যক্তিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় কানাইঘাট থানা পুুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হচ্ছে সফর উদ্দিন (৩৮), পিতা- ফয়জুল বারী, গ্রাম- কান্দলা, থানা-কানাইঘাট ও মো: মঈনুল (৩৫), পিতা-মৃত তৈয়ব আলী, গ্রাম বাজেখেল, থানা-কানাইঘাট। মামলার বিবরণে জানা যায়, একই থানার কান্দলা গ্রামের মৃত আলাউর রহমানের পুত্র আব্দুল হামিদ গত ২ ডিসেম্বর একটি মামলায় সিলেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসলে নগরীর বন্দরবাজারস্থ হোটেল বাগদাদের সামনে থেকে আসামী সফর উদ্দিন (৩৮), পিতা- ফয়জুল বারী, গ্রাম- কান্দলা, থানা-কানাইঘাট, রুবেল (৩২), পিতা-আব্দুল হাসিম, সাং- সুতারগ্রাম, থানা-কানাইঘাট, আব্দুল হামিদ (৩৫), পিতা-মৃত জমির উদ্দিন, সাং- পিল্লাকান্দি, পো: শরীফগঞ্জ, থানা- জকিগঞ্জ, ইয়াহইয়া (৩০), পিতা- আফতাব উদ্দিন, সাং- ছোট ফৌদ ও মো: মঈনুল (৩৫), পিতা-মৃত তৈয়ব আলী, গ্রাম বাজেখেল, থানা-কানাইঘাট কৌশলে আব্দুল হামিদকে একটি গাড়ীতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় আসামীরা আব্দুল হামিদের সাথে থাকা ২ লক্ষ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় এবং ঐ দিন রাত ১২টার দিকে ০১৭৭২৪৩২৮৩৯ মোবাইল হতে অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোন করে অপহরণের ঘটনাটি জানায়। উল্লেখিত আসামীগণ পরবর্তীতে ০১৭১০২১২১৫১ ও ০১৭২৮৭৮৭৭১৬ এই দুটি নাম্বার হতে ফোন দিয়ে মামলার বাদী ও অপহরণের শিকার আব্দুল হামিদের ভাই আব্দুল শুকুরের কাছে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে অন্যথায় আব্দুল হামিদকে খুন করা হবে বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনাটি কোতোয়ালী থানা পুলিশকে জানানো হলে তারা ঐ মোবাইল নাম্বারের খোঁজে নামে। এক পর্যায়ে পুলিশ সন্ধান পায় শিবগঞ্জ এলাকায় কোন একটি বিকাশ এজেন্ট হতে এই ফোনটি করা হয়েছে এবং পুলিশ অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে তাৎক্ষণিক অভিযান দিলে আসামীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে। পরবর্তীতে পুলিশ মোবাইল ট্যাকিং’র মাধ্যমে আসামীদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পুলিশের অব্যাহত অভিযানের এক পর্যায়ে গত ৯ ডিসেম্বর রাতে কানাইঘাট থানা পুলিশের এসআই পিযুষ কান্তি দে ঐ মামলার ৫ আসামীর মধ্যে ২ আসামী সফর উদ্দিন ও ময়নুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামীদের ১০ ডিসেম্বর কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়। গতকাল ১১ ডিসেম্বর ধৃতদের আদালতে হাজির করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অর্জুন চৌধুরী আসামীদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান।