কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট বাজারে গতকাল শুক্রবার বিকেল আড়াইটার দিকে ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তাৎক্ষণিক বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনতার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান কানাইঘাট পূর্ব বাজারস্থ ডাকবাংলো সংলগ্ন একটি টিনশেডের মার্কেটে হঠাৎ করে আগুনের ধোয়া দেখতে পান ব্যবসায়ীরা। মুহূর্তের মধ্যেই টিনশেডের এ মার্কেটে আগুনের লেলিহান শিখা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে বাজারের ব্যবসায়ী ও শত শত স্থানীয় জনতা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য প্রায় ঘণ্টাখানেক আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তার পরও মার্কেট সহ আশপাশের প্রায় ২৫/৩০টি দোকান সহ মালামাল একেবারে পুড়ে গিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনলে বাজারের আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হত বলে বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিলেট থেকে ফায়ার সার্বিসের ৩টি গাড়ী ঘটনাস্থলে আসার আগেই আগুন পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কি ভাবে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে তার কারন জানা যায়নি। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা মার্কেটের একটি ব্যাটারীর দোকান অথবা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটতে পারে। অগ্নিকান্ডের সাথে সাথে কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) লুসিকান্ত হাজং, পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন, মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার, সাতবাক ইউপির চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সান্ত্বনা প্রদান করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর কানাইঘাট বাজার সহ অন্যান্য হাট-বাজার ও গ্রাম-গঞ্জে অগ্নিকান্ডে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তোলে ধরে কানাইঘাটে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপনের দাবী জানান।