স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট নগরীর ঐতিহ্যবাহী মদিনা মার্কেট জামে মসজিদের ওয়াকফ এস্টেটের জমি দখলের চেষ্টায় অপরাজনীতিতে মেতেছে একটি চক্র-এমন অভিযোগ করেছেন মসজিদের মোতাওয়াল্লী খলিলুর রহমান খান। তিনি এজন্য স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিসুর রহমান কামরান ও তার অনুসারীদের দায়ি করেছেন। তাদের হাত থেকে মজসিদ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সিলেট প্রেসক্লাবের আমীনুর রশীদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন খলিলুর রহমান খান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সিলেট সম্প্রীতির শহর। ওলিকুল শিরোমণী হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরাণ (রহ.) পুণ্যভূমি এই সিলেট। মসজিদ মুসলমানদের একান্ত অনুভূতির একটি জায়গা। পবিত্র এই অনুভূতির জায়গা নিয়ে কাউকে বেআইনী কার্যকলাপ করা উচিত নয়। তারপরেও ঐতিহ্যবাহী মদিনা মার্কেট জামে মসজিদ নিয়ে যারা বেআইনিভাবে পেশীশক্তির রাজনীতি শুরু করেছেন তাদের এসব কার্যলাপ থেকে বেরিয়ে মহামান্য আদালতের আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। অন্যথায় পবিত্র মসজিদের সম্মান রক্ষার্থে মদিনা মার্কেটের সাধারণ মুসল্লিরা সকল অপকর্মের জবাব দেবে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি নিজেকে ঐতিহ্যবাহি আল-মাদিনা জামে মসজিদ ওয়াকফ স্টেটের বৈধ মোতায়াল্লী দাবি করে বলেন, ‘বর্তমানে স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এই ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করছেন। মোতাওয়াল্লী হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনেও নানা রকম বিঘœ সৃষ্টি করে আসছেন। এবং আমার বাবার ওয়াকফকৃত এই মসজিদের সম্পত্তি তাদের নিকট হস্তান্তর করতে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। ভুয়া কার্যকরি কমিটি তৈরী করে সীল, প্যাড, রশিদ বই বানিয়ে টাকা কালেকশন করে এলাকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। তার এমন কার্যক্রম আইন বর্হিভূত।’
কাউন্সিলর কামরান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারী শুক্রবার বাদ জুম্মা বেআইনিভাবে মসজিদে প্রবেশ করে মুসল্লিদের দানকৃত টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ারও অভিযোগ করেন। পাশাপাশি ইমাম, মোয়াজ্জিন এবং মসজিদের ভেতরে থাকা মুসল্লিদের নানা প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জুবের খাঁন, ফজলুর রহমান, সায়েম খাঁন, দুলাল খাঁন, হাবিবুর রহমান, ইব্রাহিম আলী, মামুনুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, হেলাল আহমেদ, টুটুল আহমেদ, সাগির আলী, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুল কাইয়ুম, নুরুন নবী প্রমুখ।