মাত্র ১৪ বছর বয়সী মাহির আলী রুশোকে শুধু বিস্ময় বালক বললে কম বলা হয়। বরং বলা যায় অদম্য মেধাবী, প্রতিভাবান ও সৃজনশীল। তা না হলে এত অল্প বয়সে এই গভীর উপলব্ধি হতো না যে, বিজ্ঞান হলো ‘ভয়েস অব গড’- যার মধ্যে ডোমিনেট করে ফিজিক্স বা পদার্থ বিজ্ঞান এবং মূলে রয়েছে ম্যাথমেটিক্স বা গণিত। এসব জানার কোন বিকল্প নেই। রুশোর ভাষ্য, সে আসলে কোন কিছু কিভাবে কেমন করে হচ্ছে- সেসব জানতে চেয়েছে- যা মূলত তাকে ব্যাপক পড়াশোনা ও জ্ঞান অর্জনে প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। রাজধানী ঢাকার মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম গ্রেডের শিক্ষার্থী রুশো পদার্থ বিজ্ঞান ও গণিতে জটিল সব সমস্যার সমাধান করে এই বয়সেই অর্জন করেছে বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড, স্ট্যামফোর্ড ও এমআইটির সনদ। এর বাইরেও তার ঝুলিতে জমা পড়েছে বিশ্বের স্বনামধন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ ও প্রশংসাপত্র। ৫০টির বেশি অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স শেষ করেছে ইতোমধ্যে। এ সবই সে সম্পন্ন করেছে অনলাইনে শিক্ষার মাধ্যমে। কোভিড-১৯ অতিমারীর সময় গৃহবন্দী থাকাকালীন রুশো দেশী-বিদেশী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত, পদার্থ বিদ্যা, ক্যালকুলাস ও রসায়নে অসংখ্য অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণ করে অর্জন করেছে এই বিরল সাফল্য। ‘ওয়ার্ল্ড গ্লোবাল চাইন্ড প্রডিজি এ্যাওয়ার্ড কমিটি’ রুশোর এসব সাফল্যের অর্জনগুলোর প্রশংসা করে জানিয়েছে যে, তারা রুশোকে নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করবে অচিরেই। অভিনন্দন মেধাবী শিশু শিক্ষার্থী রুশোকে।
দেশের আনাচে-কানাচে এ রকম মেধাবী ও সৃজনশীল আরও অনেক রুশো রয়েছে। তাদের আবিষ্কার করে অনুপ্রেরণা ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানভিত্তিক সৃজনশীল শিক্ষার ওপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ করতে হবে। তাদের মধ্য থেকেই আগামীতে বেরিয়ে আসবে প্রতিভাবান, সৃজনশীল ও মেধাবী তরুণ প্রজন্ম।