সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের গৌরারং ইউনিয়নের কুতুবপুরের জনচলাচলের রাস্তায় ইট ভাটার ট্রাক্টর ও মাটি ব্যবসায়ীদের মাহিন্দ্রা গাড়ি বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেও সুফল পাচ্ছেন না গ্রামবাসী। গত ২৪ ডিসেম্বর গ্রামের মো. আলমগীর, ফারুক আহমদ চৌধুরী, মো. গালেহ আহমদ, মো. জাহানুর আলম ও মো. সিতারা মিয়া সহ শতাধিক গ্রামবাসীর স্বাক্ষর সহ সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে কুতুবপুর গ্রামের জন সাধারণের চলাচলের রাস্তার উপর দিয়ে জনতা ইট ভাটার ইট বহনকারী গাড়ি, ট্রাক্টর এবং মাটি ব্যবসায়ীদের মাহিন্দ্রা গাড়ি বন্ধের আবেদন করেন।
তারা আবেদনে উল্লেখ করেন, কুতুবপুর গ্রামের উপর দিয়ে জনসাধারণ চলাচলের জন্য একটি সরকারী রাস্তা রয়েছে। উক্ত রাস্তা দিয়ো গ্রামের ও অন্যান্য গ্রামের লোকজন, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করে। এ রাস্তা দিয়া জনতা ইট ভাটার ইট বহনকারী গাড়ী ও মাটি ব্যবসায়ীদের মাটি বহনকারী গাড়ি চলাচল করায় গ্রামবাসীর সমস্যা হচ্ছে। গাড়ি চলায় সাধারণ মানুষ রাস্তা দিয়ে চলতে পারছে না। গাড়ি চলায় রাস্তার ময়লা আবর্জনা ও ধুলা-বালি বাতাসের সাথে মিশে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এবং গ্রামের মানুষ বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত হচ্ছে। তারা গাড়ি বন্ধে প্রশাসনে সহযোগিতা কামনা করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে গ্রামের মো. সিতারা মিয়া রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে মাটি বহনকারী একটি মাহিন্দ্রা তাকে রাস্তা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। জানা যায় এ মুরব্বী জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদনকারীদের অন্যতম একজন। গ্রামবাসী মাহিন্দ্রাটি আটক করে মাটি ব্যবসায়ী কামাল হোসেনর জিম্মায় দিয়ে দেয় এবং আগামী কাল থেকে এ রাস্তা দিয়ে মাহিন্দ্রা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জাড়ি করে।
এ ব্যাপারে কুতুবপুর গ্রামের আশরাফ মিয়া বলেন, এক মুরব্বী রাস্তা দিয়া হাঁটলে একটি মাহিন্দ্রা থাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমি এমপির একটি প্রোগ্রামে ছিলাম গ্রামরে মানুষ আমাকে ফোন দিলে আমি ঘটনাস্থলে এসে গাড়িটি মালিকের জিম্মায় দিয়েদেই এবং গ্রামের মুরব্বীরা সহ সিদ্ধান্ত হয় কাল থেকে গ্রামের রাস্তায় আর এ সব গাড়ি চলতে দেবেন না।
কামাল হোসেন বলেন, গ্রামের মানুষ নিষেধ দিয়েছেন ছোট রাস্তায় গাড়ি না চালাতে। আমি আমার গাড়ি নিয়ে এসেছি। কাল থেকে এ রাস্তায় চালাবো না।
জনতা ইট ভাটার ম্যানেজার নির্মল বাবু জানান, আমার ইট ভাটার কোন গাড়ি কাউকে ধাক্কা দেয়নি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।