গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন ॥ নৌকার অপেক্ষায় আ’লীগ, সিদ্ধান্তহীনতায় বিএনপি

80

সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আ’লীগ প্রার্থীরা প্রচারণায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। বিএনপির প্রার্থীরা রয়েছেন দলের সিদ্ধান্তহীনতায়। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা হতে পারে ফেব্র“য়ারীতেই। তাই সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে গোলাপগঞ্জ উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এ বছরও দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা-বিশ্লেষণ। আ’লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম এ পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে। আওয়ামীলীগ’র সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন। তবে বিএনপি নির্বাচনে আসা না আসা নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগছেন। তাই তারা দলীয় সিদ্ধান্তের দিকে চেয়ে আছেন। বিএনপি নির্বাচনে আসলে জাতীয় নির্বাচনে মত দলীয় প্রতীক নিয়ে বেশ টানা-হেচড়া হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বিভিন্ন জনের নাম শুনা যাচ্ছে। আ’লীগ থেকে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন সিলেট জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ূন ইসলাম কামাল, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার বদরুল ইসলাম শুয়েব, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট মহানগর যুব মহিলালীগের সভাপতি নাজিরা বেগম শীলা, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমদ, সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক জাগরণ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক দুলাল আহমদ চৌধুরী। এদিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় আলোচনায় রয়েছেন- জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ্যাড. মাও রশিদ আহমদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নছিরুল হক শাহিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ভাদেশ^র ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিলাল আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুমান উদ্দিন মুরাদ। এছাড়াও জোটগতভাবে নির্বাচনে আসলে মনোনয়ন চাইবেন জামায়াত নেতা বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজ নজমুল ইসলাম। এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ূন ইসলাম কামাল জানান গেল নির্বাচনেও আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছি। এবার দলীয় মনোনয়ন দিলে অবশ্যই নির্বাচন করব। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার বদরুল ইসলাম শুয়েব’র সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, দলীয় মনোনয়ন চাইব। দল মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচনে অংশ নেব। গোলাপগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান জানান দলীয় সমর্থন পেলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন বলেন, আমি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইব। দল আমাকে মননোয়ন দিলে অবশ্যই নির্বাচন করব। সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট মহানগর যুব মহিলালীগের সভাপতি নাজিরা বেগম শীলা জানান, দলীয় মননোয়নের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। তৃণমূলেও আমাকে প্রার্থী হিসেবে চায়। সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমদ, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। সে লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাচ্ছি। এদিকে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এড. মাও রশিদ আহমদ বলেন আমি এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় আছি। উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন চাইছে আমি নির্বাচনে অংশ নেই। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নছিরুল হক শাহিন বলেন আমি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক। আমি বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করি। তবে দলীয় অংশগ্রহণের উপর তা নির্ভর করছে। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ভাদেশ^র ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিলাল আহমদ বলেন আমি নির্বাচন করব এবং দলীয় মনোনয়ন চাইব। গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুমান উদ্দিন মুরাদ বলেন আমি নির্বাচনে অংশ নেব। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের দিকে চেয়ে আছি। গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী গোলাপগঞ্জে একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লক্ষ ২২ হাজার পাঁচশত।