গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপির প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরীর পথসভা পুলিশী বাধায় পন্ড হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১৮ জনকে আটক করেছে। বুধবার বিকালে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী পথসভার আয়োজন করে বিএনপি প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। এ সময় পুলিশ আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পথসভা করতে বারণ করে। বিএনপি প্রার্থীর লোকজন পুলিশের নিষেধ না মানায় পুলিশ ওই প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া করে। এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ফয়ছল চৌধুরীর সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লে সভা পন্ড হয়।
বিকাল ৪টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকাদক্ষিণ রোডে সোমা এক্সরের সম্মুখে ও নূর ম্যানশনের সম্মুখে এসে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়। বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্বাচনী শ্লোগান দিয়ে পথসভায় আসতে চাইলে পুলিশ লাঠি চার্জও করে। এ সময় চৌমুহনী ও আশপাশ এলাকা থেকে পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৯জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। তবে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলী ১৮ জনকে আটক করার কথা নিশ্চিত করেন। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার কর্তব্যরত উপ পরিদর্শক ফেরদৌসি আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত আটক আসামীদের ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি যার জন্য কিছু বলা যাবে না। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ চৌমুহনী এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ টহল দিতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সাজোয়া যান নিয়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে। বিএনপির দায়িত্বশীলদের দাবী পুলিশের এই হামলায় তাদের ১০০ লোকেরও বেশি কর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে গোলাপগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহ ৪ জন আহতের ঘটনায় পুলিশ মামলা (নং-১২/২৫.১২.১৮ইং) দায়ের করেছে। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এএসআই রোকনুজ্জামান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিএনপি প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে ৫৭জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।